প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২১, ০৯:৫৯ পিএম
কুমিল্লার একটি
পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় আটক ইকবাল হোসেনকে কুমিল্লা পুলিশ
লাইন্সে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে কুমিল্লা পুলিশ
লাইন্সে এসে পৌঁছায় তাকে বহনকারী মাইক্রোবাস।
এর আগে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ইকবালকে নিয়ে কক্সবাজার থেকে কুমিল্লার পথে রওনা হয় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইকবাল সন্দেহে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে একজনকে আটক করা হয়। পরে কুমিল্লার পুলিশ সুপার নিশ্চিত করেন যে আটক ওই ব্যক্তিই কুমিল্লার ইকবাল।
এর আগে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর শুক্রবার ভোরে অভিযুক্ত ইকবালকে নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা দেয় পুলিশের একটি দল।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লা থেকে পুলিশের একটি টিম কক্সবাজার পৌঁছায়। প্রাথমিক আইনি কার্যক্রম শেষে আটক ব্যক্তিকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর সাড়ে ৬টার দিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও কুমিল্লা পুলিশের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে কুমিল্লায় পাঠানো হয়।’
তবে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল কী তথ্য দিয়েছেন সে বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে অভিযানে থাকা একজন পুলিশ জানান, সৈকতের বালিয়াড়িতে ঘোরাফেরা করছিলেন ইকবাল সন্দেহে আটক ওই ব্যক্তি। পরে তাকে সৈকত থেকে আটক করে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে সে কোনো হোটেলে ওঠেনি।
উল্লেখ্য, শারদীয় দুর্গাপূজার মহা অষ্টমীর দিন গত বুধবার (১৩ অক্টোবর) ভোরে কুমিল্লা শহরের নানুয়াদীঘির উত্তর পাড়ে দর্পণ সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন দেখা যায়। এরপর কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে ওই মণ্ডপে হামলা চালায় একদল লোক। সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।
ওই ঘটনায় প্রাপ্ত সিসিটিভি ফুটেজে ইকবাল নামের এক ব্যক্তিকে দেখা যায়। সিসিটিভির সে ফুটেজে দেখা যায়, অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন কীভাবে, কখন মসজিদে যান এবং বের হন। এরপর মণ্ডপের দিকে যান এবং মণ্ডপ থেকে গদা হাতে ফেরেন তা ফুটেজে অনেকটা স্পষ্ট।
জেডআই/এম. জামান