প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২১, ০৬:২২ পিএম
কমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র
করে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে পূজামণ্ডপ, মন্দির, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া এক আসামি আদালতে
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে আব্দুর রহিম সুজন (১৯) নামের ওই আসামি স্বেচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার ভোরে তাকে চৌমুহনীর করিমপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের লুট হওয়া কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। আব্দুর রহিম সুজন চৌমুহনীর করিমপুর এলাকার আব্দুল কাশিমের ছেলে।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দুর্গাপূজার দশমীর দিন জুমার নামাজ শেষে কয়েক হাজার লোক মিছিল নিয়ে চৌমুহনীর ডিবি রোড, ব্যাংক রোড ও কলেজ রোডে ঢুকে পড়ে। মিছিলকারীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের দোকানপাট, ঘরবাড়ি, মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। ওই হামলার ঘটনায় ইসকন মন্দিরের ভক্ত যতন সাহা ও প্রান্ত চন্দ্র দাস নিহত হন। বেগমগঞ্জ থানায় হামলার ঘটনায় মোট ৮টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ২১৯ জন। অজ্ঞাত আসামি ৫ হাজার। এদের মধ্যে এজাহারভুক্ত ৬৮ জন ও সন্দেহভাজন ৩৯ জনসহ মোট ১০৭ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'গ্রেফতারকৃত আসামি আব্দুর রহিম সুজনের বসতঘর থেকে লুণ্ঠিত জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ কাজ করছে।'
এসপি আরও বলেন, 'হামলার ঘটনায় জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।'
জেডআই/এম. জামান