প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২১, ০৩:১৭ এএম
ভারতের উত্তরখণ্ডে প্রবাহমান
বন্যা ও ভারী বৃষ্টির ফলে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়ায় কুড়িগ্রামের রাজারহাট
থেকে চিলমারী পর্যন্ত প্রায় ৪৩ কিমি. জুড়ে তিস্তার অববাহিকায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
এতে ফসলি জমি ও ধানক্ষেত তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলে বসবাস করা অনেকের বাড়ি তলিয়ে
যাওয়ায় পশুপাখি নিয়ে পড়েছে বিড়ম্বনায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজারহাট
উপজেলার গতিয়াশামে গ্রামের চর ভরত এলাকায় পানিবন্দি হয়েছে শত শত পরিবার। হঠাৎ বন্যা
হওয়ায় ঘরে থাকা ধান-চাল তলিয়ে বিপাকে পড়েছেন এখানকার মানুষ। প্রায় বাড়িতে নলকূপগুলো
পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় খাবার পানি সংকট দেখা দিয়েছে।
চর ভরত এলাকার মোমেন আলী জানান,
আজকে পানি কমেছে। তবে হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা শঙ্কিত ছিলাম। না জানি কত বড়
বন্যা হয়।
কৃষক আজাহার আলী জানান, তিস্তা
নদী তো এবারে জমিজমা ঘরবাড়ি ভেঙে শেষ করে দিয়েছে। তারপরও ধারদেনা করে ১ বিঘা ধানক্ষেত
করেছি। হঠাৎ পানিতে তলিয়ে গেল। আজ-কালের মধ্যে পানি নেমে না গেলে ধানক্ষেতের ক্ষতি
হবে।
উলিপুর উপজেলার মিয়াজি পাড়া
গ্রামের রশিদুল ইসলাম জানান, ধানক্ষেত তলিয়ে না গেলেও স্রোত বেশি থাকায় নদী ভাঙনে আমার
ধানক্ষেতের একাংশ চলে গেছে। কাঁচা ধানক্ষেত কেটে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের
নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গতকাল (২০ অক্টোবর) তিস্তার পানি
বিপদসীমার ৬ সেমি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাত থেকে কমতে শুরু করেছে। আকস্মিক বন্যায়
যেসব এলাকায় নদী ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে সেখানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও আগামী
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কথাও জানান তিনি।
এএমকে/এম. জামান