প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২১, ০৫:০২ পিএম
উজান
থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের সব কয়টি গেট খুলে দেওয়ায় হু
হু করে বাড়ছে তিস্তার পানি। তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৬০
সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। বুধবার (২০ অক্টোবর) ভোর থেকে তিস্তার
পানি বাড়ায় লালমনিরহাটের তিন উপজেলার চর এলাকায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে
পড়েছে। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টরে লাগানো ধানক্ষেত। পানির তোড়ে ভেঙে যাচ্ছে
রাস্তাঘাট।
আগস্ট
ও সেপ্টেম্বরে তিস্তা শুকিয়ে জেগে উঠেছিল চর। হঠাৎ তিস্তার পানিতে সব ডুবে গেছে।
কার্তিক মাসে এমনভাবে পানি বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে চরাঞ্চলের মানুষ।
পানি
উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্র জানায়, “মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাত থেকে
তিস্তার পানি বেড়ে ডালিয়া পয়েন্টে ৫২ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত
হয়েছে। বুধবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯টায় ওই পয়েন্টে ৫৩ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার ওপর
দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপরে। তিস্তার পানি ক্রমেই
বাড়ছে।”
এদিকে
তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, পাটগ্রামের দহগ্রাম, সিঙ্গামারি,
সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী,
চর বৈরাতি তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে প্রায় ১০ হাজার
পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পাটগ্রাম
উপজেলার দহগ্রাম এলাকার কামাল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাত থেকে হঠাৎ
পানি বাড়তে থাকায় ধানক্ষেতসহ রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করে
অনেক পরিবার উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
ডালিয়া
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউ দৌলা বলেন, উজানের ঢলে ও
ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তার পানি বেড়ে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত
হচ্ছে। এছাড়া ভারতের গজলডোবার ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। তাই তিস্তাপাড়ের
মানুষদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
লালমনিরহাটের
জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, তিস্তার পানি বাড়ার বিষয়টা আমরা জেনেছি। পানিবন্দি পরিবারের
জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য সহায়তা আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা পানিবন্দি
পরিবারগুলোর জন্য সহায়তার ব্যবস্থা করছেন।
টিআর/ডাকুয়া