• ঢাকা রবিবার
    ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

আমদানি নির্ভরতা কমাতে বছরে দু'বার পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২১, ০৪:২৮ পিএম

আমদানি নির্ভরতা কমাতে বছরে দু'বার পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ

মো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রতি বছর সঙ্কটে পড়েন ব্যবসায়ীরা। ফলে বাজারে বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পরীক্ষামূলক বছরের দু'বার পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি বিভাগ।

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে বিশেষ পদ্ধতিতে প্রথমবারের মতো পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছেন কৃষকরা।

সৈয়দপুর কৃষি বিভাগ জানায়, মসলা জাতীয় ফসল পেঁয়াজের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তাই আমদানিনির্ভর হয়ে উঠছে খাতটি। প্রতি বছর পেঁয়াজের সঙ্কট দেখা দিচ্ছে দেশে। এতে করে ২৫ টাকার পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের চাষ অপ্রতুল হচ্ছে। অবস্থায় ভারত অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে।


ভারতীয় রফতানিকারকরা পেঁয়াজ সঙ্কটে সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের আমদানিকারকদের ঘেরাটোপে ফেলছেন। রফতানি দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে অথবা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। অবস্থায় পেঁয়াজের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষি বিভাগ এগিয়ে এসেছে। সঙ্কটকালে বাজারের চাহিদার বিপরীতে জোগান ঠিক রাখতে বছরে দু'বার পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগী হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

প্রথম দফায় সৈয়দপুর উপজেলার ৩০ জন কৃষককে দেওয়া হয়েছে পরীক্ষামূলক পেঁয়াজ চাষের সুযোগ। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ১০ হেক্টর জমিতে চাষ শুরু হয়েছে এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ।

চলতি মাসে শীত মৌসুমের পেঁয়াজ চারা রোপণ করছেন কৃষকরা। থেকে সাফল্য মিললে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগও রয়েছে।


সরেজমিনে দেখা যায়, সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের সোনাখুলি বাঙালিপুর ইউনিয়নের বালাপাড়ার কৃষকরা নিজেদের জমি তৈরি করে পেঁয়াজ চারা রোপণ করছেন।

বালাপাড়ার কৃষক আফির উদ্দিন জানান, নতুন জাতের পেঁয়াজের পরীক্ষামূলক চাষের সুযোগ পেয়েছি। আশা করি, সফল হব। আশানুরূপ ফলন মিললে দেশে পেঁয়াজ সঙ্কট থাকবে না।

সোনাখুলি এলাকার কৃষক রাবেয়া বেগম জানান, বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরতা কমাতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে পেঁয়াজ চাষ শুরু করলাম। অবশ্যই সফল হব আমরা

নিয়ে কথা হয় সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহিনা বেগমের সঙ্গে। তিনি জানান, কৃষি প্রণোদনার আওতায় এন-৫৩ পেঁয়াজ পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করা হয়েছে। এ থেকে সাফল্য মিললে তা সবখানে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

টিআর/ডাকুয়া

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ