মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের পরও চাপ কমছে না পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে। ঈদের ছুটি শেষে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার হাজার হাজার মানুষ ফিরতে শুরু করেছেন কর্মস্থলে। ফলে দৌলতদিয়া থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতেই দেখা গেছে যাত্রী ও যানবাহনের ভিড়।
ছিল না স্বাস্থ্যবিধির বালাই। কার আগে কে ফেরি থেকে নামবেন তার প্রতিযোগিতাও লক্ষ করা গেছে। সোমবার (১৭ মে) সকাল থেকেই এমন চিত্র ছিল পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে।
তবে সড়ক-মহাসড়কে দেখা যায়নি দূরপাল্লার বাস। যার কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে কর্মস্থলে। নির্ভর করতে হচ্ছে জেলার অভ্যন্তরীণ গণপরিবহন, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, সিএনজি, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের ওপর। গুনতে হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া।
কুষ্টিয়া থেকে আসা এক যাত্রী বলেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ব্যাটারিচালিত অটো দিয়ে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে এসেছি। পথে কয়েকবার আটকে দেয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। দৌলতদিয়া আসতে মোট ছয়বার গাড়ি বদলাতে হয়েছে। ১৫০ টাকার ভাড়া লেগেছে ৬৭০ টাকা।’
এভাবেই শত শত মাইল পারি দিয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন হাজারও মানুষ। পাটুরিয়া ঘাটে আসা অধিকাংশ কর্মজীবী মানুষের একটাই কথা তা হলো বউ, পোলাপান আর নিজের পেটের তাগিদে করোনার মাঝেও কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফেরি চলাচল করছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. জিল্লুর রহমান।
যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়লেও পারাপারে কোনো অসুবিধা হবে না বলেও জানান তিনি।
টিআর/এম. জামান
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন