প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২১, ০৯:২৫ পিএম
রিদুয়ান
ও রোজিনা বেগমের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ৬ মাস আগে তাদের প্রেমের সম্পর্কে
বিচ্ছেদ ঘটে। এর পর রেজাউল নামে আরেক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন রোজিনা। রেজাউল
কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মকর্তা থাকায় রোজিনাকেও ওই কমিউনিটি ক্লিনিকে অস্থায়ী ভিত্তিতে
চাকরি দেন। গত দুই সপ্তাহ আগে রেজাউলের সঙ্গে রোজিনার বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়।
বিষয়টি মানতে না পেরে আগের প্রেমিক রিদুয়ান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রোজিনার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ কথা প্রচার শুরু করেন। তাতে ওই দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে রেজাউলের সঙ্গে রোজিনার বিয়ে ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়। এই পরিস্থিতি মেনে নিতে না পেরে অপমানে আত্মহত্যা করেন রোজিনা। রোজিনার আত্মহত্যার খবর শুনে প্রথম প্রেমিক রিদুয়ানও আত্মহনন করেন।
ঘটনাটি কক্সবাজারের পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নের। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সকালে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রিদুয়ান মটকাভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা সোনালী বাজারের ব্যবসায়ী মৃত ছৈয়দ নুরের ছেলে ও রোজিনা বেগম উজানটিয়ার নতুন ঘোনা এলাকার বাসিন্দা নুরুল বশরের মেয়ে।
আর রোজিনার দ্বিতীয় প্রেমিক রেজাউল পেকুয়া সদর ইউপির নন্দীর পাড়ার বাসিন্দা মৃত ফজল করিমের ছেলে। তিনি উজানটিয়ার গোধার পাড় এলাকার কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মকর্তা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিষাক্ত ট্যাবলেট (ইঁদুরের বিষ) খেয়ে আত্মহত্যা করেন রোজিনা বেগম (২০)। এই খবর পেয়ে ১০ মিনিট পরে একইভাবে আত্মহত্যা করেন রিদুয়ানুল হক (২২)।
রেজাউল করিমের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ভাই নেজাম উদ্দিন জানান, উজানটিয়ার একটা মেয়ের সঙ্গে রেজাউলের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কোনো ধরনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। সকালে শুনি মেয়েটা আত্মহত্যা করেছে।
নিহত রিদুয়ানের ভাই মো. হোছাইন বলেন, রিদুয়ানের সঙ্গে একটা মেয়ের সম্পর্কের ব্যাপারে জানতাম। এই মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে সেও বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে ফেলে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
পেকুয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
টিআর/ডাকুয়া