প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২১, ০৩:৩৩ পিএম
জুয়েল রানা, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হলো টাঙ্গাইলের গোপালপুরের লাবনী আক্তার। এসএসসি পরীক্ষার্থী লাবনীর নাম এখন আবদুল্লাহ জিসান। তাকে এক নজর দেখতে বাড়িতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের নঠুরচর পশ্চিম পাড়া গ্রামের।
লাবনীর বাবা মো. লাভলু মিয়া জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই তার অঙ্গভঙ্গিসহ বিভিন্ন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। গত বৃহস্পতিবার তিনি লাবনীর মায়ের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারেন। পরের দিন শুক্রবার বিষয়টি মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়লে চার দিকে জানাজানি হয়ে যায়। এরপর থেকেই দিনরাত মানুষ ভিড় করছে তাকে দেখার জন্য।
তিনি আরও জানান, এখন তার শারীরিক গঠন অনেকটা পুরুষের মতো। এ ছাড়া চেহারাতেও কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ার পর তার নাম রাখা হয়েছে আবদুল্লাহ জিসান। এবার উপজেলার হাতেম আলী বিএল উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়া লাবনী আক্তার জানায়, চার থেকে পাঁচ মাস আগে থেকেই এমন কিছু ঘটছে বলে আন্দাজ করতে পারে সে। কিন্তু লোকলজ্জায় তখন কিছু বলতে পারেনি। তাই এখন তার মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়।
লাবনীর মা পারভীন আক্তার জানান, ছয় মাস আগে লাবনী আক্তারের বিয়ে ঠিক করা হয় একই উপজেলার মাকুল্লা গ্রামে। তখন লাবনী আক্তার বিয়েতে অসম্মতি জানায়। লাবনীর রূপান্তরিত হওয়ার ঘটনাটি বললে আমি প্রথমে বিশ্বাস করিনি। পরে আমি সব কিছু দেখেশুনে বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছি। আল্লাহ তাকে মেয়ে থেকে ছেলে বানিয়ে দিয়েছে। লাবনীসহ আমার দুই মেয়ে ছিল। এখন এক ছেলে ও এক মেয়ে হওয়ায় আমি অনেক খুশি।
মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হালিমুজ্জামান তালুকদার জানান, প্রথমে তিনি ঘটনাটি বিশ্বাস করেননি। পরে সরেজমিনে তাদের বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত হন। ডাক্তারের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওই পরিবারটিকে সরকার কর্তৃক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
এ বিষয়ে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলিম আল রাজী বলেন, ‘আমাদের দেশে মাঝে মধ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এটা সাধারণত হরমোন পরিবর্তনের কারণে ঘটে থাকে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসার জন্য তার পরিবারকে অনুরোধ করা হয়েছে।’
টিআর/এম. জামান
