রাজবাড়ী প্রতিনিধি
দুইদিন আগে দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে পন্টুনের তার ছিঁড়ে পদ্মা নদীতে ডুবে যায় সাদা রঙয়ের একটি মাইক্রোবাস। এবার সেই গাড়িটির চালক মারুফ হোসেনের (৪০) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সকালে ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল মোন্নাফ আলী বলেন, 'ঘটনার পর থেকেই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে গেছে। ডুবে যাওয়া মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করতে পারলেও চালক মারুফ নিখোঁজ ছিল। সকালে ফেরি ঘাট এলাকায় একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।'
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, 'ঘটনাস্থলে মাইক্রোবাস চালকের বড় ভাই ফারুক হোসেন, ছোট ভাই শাহীন হোসেনকে নিয়ে আসা হয়েছে। তারা লাশটি শনাক্ত করেছে। আইনি প্রক্রিয়ার শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।'
নিহত মারুফের বাড়ি সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানার সুন্দরের চক গ্রামে। তবে তিনি ঢাকার রামপুরায় থাকতেন। তিন কন্যা সন্তানের জনক তিনি।
গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে পন্টুনের ওপর মাইক্রোবাসটি ফেরির জন্য দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ ঝড়ে পন্টুনের রশি ছিঁড়ে যায়। এতে পন্টুনটি ঘাট থেকে কিছুটা দূরে চলে যায় ও মাইক্রোবাসটি নদীতে পড়ে যায়। বেলা দেড়টার দিকে মাইক্রোটিকে উপরে তুলতে সক্ষম হন উদ্ধারকারী দল।
এএএম
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন