
প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২১, ০২:৩৯ পিএম
রংপুরের কাউনিয়া রেলওয়ে স্টেশনে গত ছয় মাসের
টিকিট বিক্রির প্রায় ৩৪ লাখ টাকা
সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়নি।
এসব টাকা আত্মসাতের অভিযোগে
স্টেশনের প্রধান টিকিট বুকিং ম্যানেজার মিশুক আল মামুনকে মামলা
দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে দায়িত্বে
অবহেলার দায়ে স্টেশন মাস্টার
বাবু আল রশিদকে সাময়িক
বরখাস্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ
রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল ডিভিশনাল অফিস সূত্রে জানা
যায়, রংপুরের কাউনিয়া স্টেশনে ছয় মাস
ধরে লালমনিরহাট ও রংপুর এক্সপ্রেস
আন্তঃনগরসহ বিভিন্ন রুটের ১৪টি ট্রেনের টিকিট
বিক্রির টাকা রেলওয়ে কোষাগারে
জমা হয়নি। টিকিট বিক্রির প্রায় ৩৪ লাখ টাকা
স্টেশনের প্রধান টিকিট বুকিং ম্যানেজার মামুন সরকারি কোষাগারে জমা না করে
আত্মসাৎ করেন।
টাকা
জমা না হওয়ার বিষয়টি
গত ২৪ সেপ্টেম্বর রেলওয়ের
পশ্চিমাঞ্চল ডিভিশনাল ম্যানেজার শাহ সুফির নজরে
আসে। তিনি খতিয়ে দেখার
পর টিকিট বিক্রির টাকায় গরমিলের বিষয়টি ধরা পড়ে। এ
ঘটনায় তিনি গত ৪
অক্টোবর মামুনকে তার কার্যালয়ে ডেকে
এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে দেখা যায়
টিকিট বিক্রির টাকা কোষাগারে জমা
না করে আত্মসাতের ঘটনা
ঘটেছে।
এ
ঘটনায় ওই দিনই লালমনিরহাট
রেলওয়ের জুনিয়র ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ছহির উদ্দিন বাদী
হয়ে মামুনের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা দায়ের করেন। মামলায় মামুনকে গ্রেফতার করে রংপুর আদালতে
পাঠায় পুলিশ। পরে তাকে কারাগারে
পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। অন্যদিকে
দায়িত্বে অবহেলার দায়ে কাউনিয়া স্টেশন
মাস্টার বাবু আল রশিদকে
গত ৪ অক্টোবর সাময়িক
বরখাস্ত করা হয়।
বিষয়টি
নিশ্চিত করে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের
লালমনিরহাট ডিভিশনাল ম্যানেজার শাহ সুফি নুর
মোহাম্মদ বলেন, 'রেলওয়ের একমাত্র রাজস্ব আদায় হয় যাত্রীদের
কাছে টিকিট বিক্রি করে। নিয়ম রয়েছে
স্টেশনের টিকিট বুকিং ম্যানেজার কাউন্টারে প্রতিদিন যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রির
টাকা হিসাব করে স্টেশন মাস্টারের
কাছে জমা দেবেন। আর
স্টেশন মাস্টারের দায়িত্ব হলো টিকিট বুকিং
ম্যানেজারের কাছ থেকে বুঝে
নেওয়া টাকা সরকারি কোষাগারে
জমা করবেন। কিন্তু কাউনিয়া স্টেশনের মাস্টার রশিদ ছয়
মাস ধরে টিকিট বিক্রির
টাকা বুঝে নেননি।
তিনি
আরও বলেন, ‘স্টেশন মাস্টারের উদাসীনতা ও নজরদারির অভাবে
মামুন রেলের টাকা আত্মসাৎ করেন।
টাকা আত্মসাতে মামুনের সঙ্গে রশিদের সম্পৃক্ততা আছে কি না
তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এ
বিষয়ে কাউনিয়া স্টেশন মাস্টার বাবু আল রশিদের
বক্তব্য জানতে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও
তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
নূর/এম. জামান