প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২১, ০২:০১ পিএম
শেষ মুহূর্তে রঙ
তুলিতে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন
নাটোরের শিল্পীরা। মাত্র দুইদিন পর থেকেই শুরু
হবে হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব
শারদীয় দুর্গোৎসব।
পঞ্জিকা
অনুসারে দেবী দুর্গা এবার
ঘোড়ায় চড়ে আসছেন। ইতোমধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ। এখন
চলছে রঙ তুলিতে প্রতিমার
নিখুঁত অঙ্কনের কাজ। অন্য দিকে
প্রত্যেক মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে নানা কর্মব্যস্ততা।
সরেজমিনে
দেখা যায়, নাটোর শহরের
নিচাবাজার, জয়কালীবাড়ি, লালবাজার, বঙ্গজ্বলসহ বিভিন্ন পূজা মণ্ডপগুলোতে চলছে
সাজ-সজ্জার কাজ। দেখে মনে
হয় কাজের চাপে দম ফেলার
সময় নেই শিল্পী ও
কারিগরদের। এসব শিল্পীদের সারা
বছর তেমন কাজ না
থাকলেও দুর্গাপূজায় কর্মব্যস্ততা যেন দুগুণ বেড়ে
যায়। এখন প্রতিমা তৈরির
কাজ শেষ। চলছে রঙ-তুলির দিয়ে নিখুঁত কারুকার্য।
প্রতিটি প্রতিমা ২০ হাজার থেকে
৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন বলে জানান
শিল্পীরা।
জানা
যায়, এ বছর নাটোর
জেলায় ৭টি উপজেলায় মোট
৩৮৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে। যা
গত বছরের চেয়ে এ বছর
৩৪টি বেশি মণ্ডপে পূজা
অনুষ্ঠিত হবে। গতবছর এই
সংখ্যা ছিল ৩৪৯টি।
প্রতিমা
শিল্পী বিপ্লব পাল বলেন, ‘শেষ
মুহূর্তে এখন প্রতিমার রঙের কাজ চলছে। কালকের
মধ্যেই সব কাজ শেষ
হবে। আগের মতো আর
তেমন কাজের চাপ নেই। আগে
দুই মাস আগে থেকে
আমরা প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছি।
এখন করোনার জন্য তেমন কাজের
চাপ নেই।’
মণ্ডপে কারিগর সুশীল কুমার বলেন, ‘ডেকোরেশনের কাজ প্রায় শেষের
দিকে। এখন কাপড় বাঁধার
কাজ চলছে।’
নাটোরের
জেলা প্রশাসক মো. শামীম আহমেদ
বলেন, ‘দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করার জন্য সব
রকম প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। প্রশাসন
এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বিতভাবে মাঠে দায়িত্ব পালন
করবে।’
নূর/ডাকুয়া