প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২১, ০৯:১০ এএম
ইকবাল হোসেন সুমন, নোয়াখালী প্রতিনিধি
মঙ্গলবার মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও মূল পূজা উৎসব শুরু হবে আগামী ১১ অক্টোবর ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে। করোনার প্রাদুর্ভাব কিছুটা কম থাকায় এবার নানা বয়সী মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা ইতোমধ্যে মণ্ডপে মণ্ডপে গিয়ে প্রতিমা ও প্যান্ডেলগুলো দেখা শুরু করেছেন। করছেন কেনাকাটাও ।
বর্ণিল আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে পূজা আয়োজকেরা। এখন শুধু অপেক্ষা সেই মাহেন্দ্রক্ষণের। তাইতো মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। প্রতিমার গায়ে রং-তুলির আঁচড় ও সাজসজ্জার কাজে দম ফেলার ফুরসত নেই প্রতিমা শিল্পীদের। নিপুণ হাতে তৈরি হচ্ছে দুর্গা, গণেশ ও কার্তিকসহ বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রতিমা। এ বছর নোয়াখালীর ৯টি উপজেলার ১৬৯টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এই উৎসব।
পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হাতিয়া উপজেলায় ৩৪টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন থাকছে। এ ছাড়া সদর উপজেলায় ২৪টি, সেনবাগ উপজেলায় ১৩টি, চাটখিল উপজেলায় ১০টি, সোনাইমুড়ী ১২টি, বেগমগঞ্জ উপজেলায় ২০টি, কবিরহাট উপজেলায় ১৫টি, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১৩টি ও সুবর্ণচর উপজেলায় ২৭টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৬ সালে চৌমুহনীতে বিজয়াতে দুর্গা মন্দিরে দেবী দুর্গার ৭১ ফুট উচ্চতা প্রতিমা তৈরি করে গোটা ভারত ও বাংলাদেশে বেশ সাড়া ফেলেছিল। ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার দর্শনার্থী সে প্রতিমা দেখতে এসেছিলেন। এ ছাড়া বিগত বছরগুলোতে চৌমুহনী পৌর এলাকার শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউর মন্দির, দশভুজা, ত্রি-নয়নী, অপরূপা, বিজয়া, মহামায়া, নবদুর্গা, ত্রিশূল মঙ্গলা পূজা মণ্ডপে বিভিন্ন আদলে মণ্ডপ তৈরি করা হলেও এবার অনেকটা সাদামাটা।
মাইজদী মালঞ্চ সংঘের সভাপতি ধীমান মজুমদার জানান, প্রায় দেড় মাস ধরে ১৫ জন কারিগর দিন-রাত পরিশ্রম করে এ প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। তাদের আশা তাদের মণ্ডপে প্রতিমা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীরা আসবেন।
মাইজদী শহর মালঞ্চ সংঘ পূজা মন্দিরের ভাস্কর শিল্পী সুভাস পাল বলেন, এখন প্রতিমায় রং তুলির আঁচড় দিচ্ছি। সময় মতো আয়োজকদের হাতে প্রতিমা তুলে দিতে দিন-রাত পরিশ্রম করছি।
জেলা
পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কিশোর চন্দ্র শীল জানান, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে
শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা হলেও উৎসবটি সার্বজনিন। সবার সহযোগিতায় এবারের উৎসব সুন্দর ও সার্থক হবে বলে তিনি আশাবাদী।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপগুলোতে আরও বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
টিআর/এএমকে