প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২১, ০৩:৩৬ পিএম
ব্রিটিশ আমলে নির্মিত
ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের আমূল পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। পুরোনো স্থাপনা ভেঙে
সেখানে গড়ে উঠেছে নতুন আধুনিক বহুতল ভবন।
রয়েছে কারা হাসপাতাল এবং নারী ও কিশোর বন্দিদের জন্য পৃথক আবাসন ব্যবস্থা। বেড়েছে
বন্দি ধারণক্ষমতাও।
কারা সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে ‘ময়মনসিংহ কারাগার সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ’ শীর্ষক রিভাইস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (আরডিপিপি) প্রকল্পের মাধ্যমে ১১৭ কোটি টাকা বরাদ্দের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হয়। কিন্তু করোনাসহ বিভিন্ন কারণে নির্ধারিত মেয়াদকালে শেষ হয়নি উন্নয়ন কাজ। ফলে ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত এ কাজের মেয়াদকাল বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানোর চেষ্টা চলছে নির্মাণ বরাদ্দও।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রকল্পটির জন্য প্রায় ২০০ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে, যা এখন অনুমোদনের অপেক্ষায়।
উন্নয়ন কাজের মধ্যে রয়েছে- ছয়তলা বিশিষ্ট দু’টি বহুতল বন্দিভবন, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট পুরুষ বন্দিদের আধুনিক হাসপাতাল, নারী বন্দিদের জন্য আলাদা বহুতল ভবন, তিন শতাধিক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন কারারক্ষীদের বহুতল ভবন, কিশোর বন্দিদের জন্য দ্বিতল ভবন, মানসিক রোগে আক্রান্ত পুরুষ বন্দিদের জন্য হাসপাতাল, চারটি ছয়তলা বিশিষ্ট বহুতল আবাসিক ভবন, সাক্ষাতকক্ষ, সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ ইত্যাদি।
ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেছেন, এর মধ্যে চারটি আবাসিক ভবনের কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া কারাগারের সীমানা প্রাচীরের ৬০ শতাংশ, গোডাউনের শতাংশ, সাক্ষাতকক্ষের ৯০ শতাংশ, কারারক্ষী ভবনের ৭৫ শতাংশ, ও দু’টি বন্দি ভবনের প্রায় ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রস্তাবিত বরাদ্দ পেলে বাকি কাজ দ্রুত শেষ হবে।
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণক্ষমতা ৯৯৬ জনের। তবে ১৭৯০ সালে নির্মিত এই কারাগারে বর্তমানে বন্দি রয়েছেন এক হাজার ৯৯৪ জন, যা ধারণক্ষমতার দুই গুণের বেশি। ফলে প্রবল আবাসন সংকট রয়েছে কারাগারে। তবে চলমান উন্নয়ন কাজ শেষ হলে বন্দিরা উন্নত পরিবেশ পাবে বলে আশা করছেন ময়মনসিংহের ডিআইজি প্রিজন্স মো. জাহাঙ্গীর কবীর।
জেডআই/ডাকুয়া