• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

৫ মাস পর বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে স্পিডবোট চালু

প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২১, ০৭:০২ পিএম

৫ মাস পর বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে স্পিডবোট চালু

মাদারীপুর প্রতিনিধি

দীর্ঘ পাঁচ মাস চার দিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার ( অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়েছে। 

গত তিন মে থেকে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কাঠালবাড়ি ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে যাত্রীবাহী স্পিডবোট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে থেমে থাকা বাল্কহেটের সঙ্গে ধাক্কায় ২৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ বন্ধ হয়ে যায়  নৌযানটি।

পরে চালকের ড্রাইভিং সনদস্পিডবোটের রেজিস্ট্রেশন সনদ, সার্ভে সনদ, বোট নম্বর রুট পারমিট সনদ দেওয়ার পরে বৃহস্পতিবার থেকে চালু হলো এই রুটে স্পিডবোট

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছেদুই মাস ধরেই স্পিডবোট চালুর প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করেছে স্পিডবোট মালিক সমিতি। ইতোমধ্যে অনিবন্ধিত স্পিডবোটের নিবন্ধন দিয়েছে কর্তৃপক্ষ এবং চালকদের পরীক্ষাও নিয়েছে। উত্তীর্ণরা চালকেরাই নৌরুটে স্পিডবোট চালানোর অনুমতি পাচ্ছে।

বাংলাবাজার স্পিডবোট মালিক সমিতির সুপার ভাইজার আনিসুর রহমান রিপন জানান, ‘বাংলাবাজার ঘাটের ৪৮টি স্পিডবোট রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে চলাচলের জন্য ২৯টি বোট অনুমোদন পেয়েছে। যা বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে চলাচল শুরু করছে। এ ছাড়া বাংলাবাজার ঘাটের ৫৬ জন স্পিডবোট চালক বোট চালানোর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সনদ পেয়েছেন।

বাংলাবাজার স্পিডবোট মালিক সমিতি সূত্র জানিয়েছে, গত ১৯ আগস্ট সদরঘাটের প্রকৌশলী জাহাজ জরিপকারক কার্যালয়ের আয়োজনে শিমুলিয়াতে স্পিডবোট চালকদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। লিখিত, মৌখিক এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় ওই দিন ১৩৪ জন চালক উত্তীর্ণ হয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চালকদের সনদও দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বাংলাবাজার ঘাটের ৫৬ জন চালক সনদ পেয়েছে। এ ছাড়াও অন্যান্য বোটের চলাচলের জন্য রুট পারমিট, সার্ভে সনদ প্রাপ্তির কার্যক্রম চলছে।

শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটের স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি মো. দেলোয়ার হাওলাদার জানান, অনুমোদন প্রাপ্ত স্পিডবোটগুলো বৃহস্পতিবার বিকেলে চলাচল শুরু করেছে। বাংলাবাজার ঘাটের ২৯টি বোটকে চলাচলের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নিয়ম মেনেই এসব চলবে।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান জানানস্পিডবোট চলাচলের ক্ষেত্রে সকল নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। প্রশাসনেরও নজরদারি থাকবে।

নূর/এম. জামান

আর্কাইভ