প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২১, ০৩:০৫ পিএম
কুমিল্লার চান্দিনা
উপজেলায় জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ভাতিজাকে ফাঁসাতে নিজের মেয়ে ছালমা আক্তারকে
(১৪) গলা কেটে হত্যা করেছেন বাবা সোলেমান (৪০)। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ এ তথ্য জানান।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) রাতে উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের বসন্তুপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আবদুর রহমান ও খলিল নামে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি দা জব্দ করা হয়েছে।
বীভৎস এ ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী সোলেমানের উকিল বাবা আব্দুর রহমান। এ ঘটনায় প্রতিবেশী খলিলকে আটক করেছে পুলিশ। তবে সোলাইমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে এখনও গ্রেফতার দেখানো হয়নি।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ জানান, গত ১ অক্টোবর রাতে ছালমা আক্তারকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন ছালমার বাবা সোলাইমান।
পরে গত মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে বের হলে তাকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা করা হয় অভিযোগ করেন তিনি। ঘটনাটি তদন্ত করতে গেলে বাদী ও আসামিদের কথায় গরমিল পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে সোলেমানের উকিল বাবা আব্দুর রহমান ও প্রতিবেশী খলিল মাদরাসা-ছাত্রী ছালমা হত্যায় নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের পরামর্শে সোলেমান তার মেয়েকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
তিনি আরও বলেন, নিহত ছালমার বাবা সোলেমানের সঙ্গে তার ভাতিজা শাহজালাল ও শাহ কামালের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ছিল। তাদের হত্যা মামলা দিয়ে ফাঁসাতে এবং ভাতিজাদের জায়গা দখলের জন্য নিজ মেয়ে ছালমাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরবর্তীতে বুধবার সোলাইমান তাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে সংবাদমাধ্যমকে জানান। বিষয়টি সাজানো নাটক ছিল। আটক দুইজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।
জেডআই/এম. জামান