
প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২১, ১১:২১ এএম
মো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী প্রতিনিধি
‘চলেন যদি হেলমেট ছাড়া মরণ আপনাকে করবে তাড়া’—এ
স্লোগানকে সামনে রেখে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ট্রাফিক বিভাগের মাসব্যাপী অভিযান ও সচেতনতামূলক
কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। মোটরসাইকেলজনিত দুর্ঘটনারোধে হেলমেট ব্যবহারে সচেতনতামূলক
প্রচারণা ও একই বাইকে তিনজন ওঠা বন্ধে গত ১ অক্টোবর থেকে অভিযান শুরু হয়েছে।
নীলফামারী জেলা পুলিশের উদ্যোগে সৈয়দপুরসহ গোটা জেলায় ওই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সৈয়দপুর শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক আইনবিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মসূচি ও হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল আটকে অভিযান চালায় নীলফামারী জেলা পুলিশের সৈয়দপুর ট্রাফিক বিভাগ।
শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরের পাঁচমাথা
মোড়, শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কস্থ মদিনা মোড়, ১নং রেলওয়ে ঘুমটি মোড়, বাসটার্মিনাল, পানি
উন্নয়ন বোর্ড মোড় (পার্বতিপুর রোড), পার্বতিপুর রোডে আর্মি চেকপোস্ট মোড়, উপজেলা রোডের
সিএসডি মোড়, ওয়াপদা মোড়, সোনাপুকুর রাবেয়া ফ্লাওয়ার মিল মোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ
পয়েন্টে চলে সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল আটক অভিযান।
সূত্র জানায়, গত ১ অক্টোবর
থেকে মাসব্যাপী শুরু হওয়া অভিযান চলাকালে ট্রাফিক আইন অমান্য করে হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল
চালানোর দায়ে চালক ও মালিকের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৬০টি মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া দুইজনের
বেশি মোটরসাইকেলে চড়া অবৈধ জেনেও চালকসহ তিনজন মোটরসাইকেলে থাকায় এমন ১০ জনের বিরুদ্ধে
আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
নীলফামারী জেলা পুলিশের ট্রাফিক
বিভাগের শহর ও যানবাহন পরিদর্শক মো. আবু নাহিদ পারভেজ চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা
করছেন ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. আশরাফ, কোরায়শী, শহর যানবাহন উপপরিদর্শক মো. আব্দুল খালেকসহ
ট্রাফিক বিভাগের অন্যান্য সদস্যরা।
কথা হয় নীলফামারী জেলা পুলিশের
ট্রাফিক বিভাগের শহর ও যানবাহন পরিদর্শক মো. আবু নাহিদ পারভেজ চৌধুরীর সঙ্গে।
তিনি সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন,
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনারোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল আটক অভিযান সফল
করতে ট্রাফিক বিভাগ তৎপর রয়েছে। নীলফামারী জেলা পুলিশের নির্দেশনায় এ অভিযান চলবে গোটা
অক্টোবর মাস পর্যন্ত। মোটরসাইকেলজনিত দুর্ঘটনারোধে সচেতনতামূলক স্টিকার লাগানো এবং
মাইকে প্রচার অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল
নিয়ে বের হলে বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজন অপেক্ষায় থাকে তার প্রিয়জন কখন বাসায় ফিরবেন।
কিন্তু অনেক সময় হেলমেট না থাকার কারণে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। ফলে অনেক পরিবারে নেমে আসে
দুঃখ-দুর্দশা। তাই এমন অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার আগেই ট্রাফিক আইন মেনে হেলমেট ব্যবহারে
সকলকে সচেতন করতে এ অভিযান শুরু হয়েছে।
টিআর/এএমকে