মাদারীপুর প্রতিনিধি
ঈদে বাড়ি ফেরার তাড়া দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের। শেষ মুহূর্তে ঈদযাত্রায় দেখা দিলো বৃষ্টি! এক দিকে বৃষ্টি আর অন্যদিকে বাড়তি ভাড়া সব মিলিয়ে বেসামাল ঘরমুখো যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (১১ মে) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে টিপটিপ বৃষ্টিতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ঘরে ফিরছে তারা।
বিআইডব্লিউটিসি ঘাট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের ঘরে ফেরার ঢল নামে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের ভিড় আরও বৃদ্ধি পায়। শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতেই ছিল যাত্রী ও যানবাহনের চাপ।
তবে সবগুলো ফেরি চালু থাকায় যাত্রীদের গাদাগাদি তুলনামূলক কম রয়েছে। যাত্রীর চাপ সামাল দিতে বাংলাবাজার ঘাট থেকে খালি ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে পাঠানো হচ্ছে। এ দিকে বিকেলে বৃষ্টি শুরু হলে ঘাট এলাকায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। বৃষ্টিতে ভিজেই গাড়িতে উঠতে দেখা গেছে হাজার হাজার যাত্রীকে।
ঢাকা থেকে মাদারীপুর আসা বেশ কয়েকজন যাত্রী জানান, ফেরির বেশির ভাগ যাত্রীদের যানবাহন রাখার ডেকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। যখন বৃষ্টি শুরু হয় তখন ভীষণ বিপাকে পড়েছেন তারা।
ফরিদপুরগামী মালেক মিয়া নামের এক যাত্রী বলেন, ‘হালকা বাতাস আর বৃষ্টিতে পদ্মা কিছুটা উত্তাল হয়ে উঠেছে। বৃষ্টিতে পুরো পথ ভিজেই ঘাটে নেমেছি। এখন আবার পরিবহন বন্ধ, তাই ভেঙে ভেঙে বাড়ি যেতে হচ্ছে।’
অন্যদিকে ঢাকা থেকে বিভিন্ন উপায়ে অতিরিক্ত ভাড়া ব্যয় করে বাংলাবাজার ঘাটে এসে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা পড়েন আরও ভোগান্তিতে। গণপরিবহন না থাকায় বাংলাবাজার ঘাট থেকে থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাসে তিনগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের।
বরিশালগামী মহিউদ্দিন জানান, আগে বাংলাবাজার ঘাট থেকে বরিশাল যেতে ভাড়া লাগত মাত্র ৩০০ টাকা। সেই ভাড়া এখন ১২০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকায় উঠেছে।
বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘ঈদে ঘরে ফেরা দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের চাপ রয়েছে। আমাদের সকল ফেরি চলাচল করছে। বাংলাবাজার ঘাটে তেমন চাপ নেই। তাই যাত্রী চাপ সামাল দিতে বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রী ও যানবাহন নামিয়ে খালি ফেরিই শিমুলিয়া ঘাটে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। বৃষ্টিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে যাত্রীদের। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ভিজতে হয়েছে ঘরমুখো মানুষদের।’
ডব্লিউএস/এম. জামান
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন