রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় ফেরি ঘাটের পন্টুন ছিঁড়ে নদীতে পড়ে যাওয়া মাইক্রোবাস চালকের পরিচয় পাওয়া গেছে। উদ্ধার হয়েছে মাইক্রোবাসটিও ।
তবে রাত হয়ে গেলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন সেই চালক। মাইক্রোবাস চালকের নাম মারুফ হোসেন (৪০)। তার গ্রামের বাড়ি সিলেট সদরে হলেও ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকেন তিনি।
সর্বশেষ মঙ্গলবার (১১ মে) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল মুন্নাফ।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে ঘাট এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এতে পন্টুন বেধে রাখা দড়িটি ছিড়ে ঘাট থেকে একশ মিটার দূরে সরে যায়। এসময় পন্টুনে থাকা মাইক্রোবাসটি নদীতে পরে ডুবে যায়। সে সময় গাড়িতে থাকা ড্রাইভারও বেড় হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু গাড়ির সঙ্গে চালক মারুফ হোসেনও ডুবে যায়।
দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল মুন্নাফ জানান, মাইক্রোবাসের মালিক মোকসেদুর রহমান। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা। একটি প্রাইভেট ফার্মে কাজ করেন। তার শ্যালক সোমবার (১০ মে) বিদেশ থেকে ফেরেন। পরে তাকে চুয়াডাঙ্গার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দিতে চালক মারুফকে মাইক্রোবাসসহ পাঠানো হয়। তার শ্যালককে দিয়ে মঙ্গলবার ১১ টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট হয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন চালক মারুফ হোসেন।
তিনি আরও জানান, গাড়িতে অন্য কারো থাকার কথা নয়, তারপরও অন্য কোন ব্যক্তি ছিল কিনা সেটা নিশ্চিত নন মাইক্রোবাসের মালিক। চালক মারুফ হোসেনকে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে উদ্ধার মাইক্রোবাসেও তার লাশ পাওয়া যায়নি। ফলে তার বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে ডুবে যাওয়া নোহা গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন গাড়ির চালক। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
টিআর
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন