প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২১, ০৫:৪৯ পিএম
পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌরুটে দেড় মাসের বেশি সময় বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। সোমবার (৪ অক্টোবর) সকালে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে পরীক্ষামূলক (ট্রায়াল) ফেরি চলাচল শুরু হবে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে গত জুলাই ও আগস্টে পদ্মায় তীব্র স্রোত থাকায় পদ্মা সেতুর তিনটি পিলারে চারবার ফেরির ধাক্কা লাগে। ফলে এই নৌপথে দুর্ঘটনা এড়াতে গত ১৮ আগস্ট দুপুরের পর এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএ জানায়, কয়েকদিন ধরে পদ্মায় স্রোত ও পানির উচ্চতা অনেকটা কমে যাওয়ায় পুনরায় ফেরি চালুর বিষয়ে ইতোমধ্যে নৌপথের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনী, বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির প্রতিনিধিরা। সেখানে সোমবার (৪ অক্টোবর) সকালে সংশ্লিষ্ট দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে যানবাহনশূন্য পরীক্ষামূলক ফেরি উভয় ঘাট থেকে ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্বাভাবিক সময়ে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ১৬টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ ও ২০০ স্পিডবোট চলাচল করে। তবে গত ৩ মে সকাল সোয়া ৬টার দিকে এই নৌরুটের কাঁঠালবাড়ি ঘাট সংলগ্ন একটি বালু বোঝাই বাল্কহেডের সাথে ধাক্কা লেগে ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকে স্পিডবোট বন্ধ রাখে প্রশাসন। এ ছাড়াও নৌপথে যাত্রী পারাপারে একমাত্র ভরসা লঞ্চ। আর লঞ্চগুলো সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। আর ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।
বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, পদ্মায় স্রোত ও পানি কমেছে। আমাদের নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে সোমবার আমরা ট্রায়াল দেবো। যদি সফলভাবে ট্রায়াল সম্পন্ন হয়, তাহলে সোমবার থেকেই বাণিজ্যিকভাবে ফেরি চলাচল শুরু হবে।
এ ছাড়াও জাজিরা উপজেলার মাঝিকান্দি ঘাট চালুর বিষয়ে জানতে চাইলে শাহাদাত হোসেন আরও জানান, মাঝিকান্দি থেকে শিমুলিয়া নৌপথে ডুবোচরের নানা সমস্যা আছে। ওখানে ড্রেজিং করলেও ফেরিঘাট প্রস্তুত করা যাচ্ছে না। তাই মাঝিকান্দিতে আপাতত ফেরি চালুর সম্ভাবনা নেই।
বিআইডব্লিউটিসি
বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন আহমেদ জানান,শুনেছি এ সপ্তাহে ফেরি
চলাচল শুরু হবে। তবে কোন দিন থেকে শুরু হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
টিআর/এম. জামান