• ঢাকা রবিবার
    ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

স্বপ্নবাজ নারীর কফি বাগানে মুগ্ধ এলাকাবাসী

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২১, ১২:০০ পিএম

স্বপ্নবাজ নারীর কফি বাগানে মুগ্ধ এলাকাবাসী

মো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী প্রতিনিধি

খাদিজা আক্তার (৫৫)। শখের বশে শুরু করেন বাগান করা। ২০১৪ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর শখের বাগানটি বাণিজ্যিকভাবে সম্ভাবনাময় হয়ে ওঠে। স্বপ্নবাজ এই নারীর বর্তমানে ৫ বিঘা জমিতে রয়েছে কফিসহ নানা জাতের ফলগাছ।

একজন নারী হয়েও কফি বাগানসহ নানা ফলের বাগান করে এলাকার মানুষকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। এই নারী উদ্যোক্তার বাড়ি নীলফামারী জেলার জলঢাকায়।

জানা গেছে, তার সন্তানেরা উচ্চ শিক্ষার জন্য ২০১৮ সালে বিদেশে চলে যান। প্রথমে তারা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা প্রজাতির কিছু অ্যারাবিকা ও রোভাস্ট জাতের কফি গাছের চারা এনে দেয় বাগান করার জন্য। শখের বশে করা বাগানে এখন দুই হাজার ৮০টি কফি গাছসহ ২০ প্রজাতির ফল গাছ আছে।

খাদিজা আক্তার বলেন, এই বাগান এখন তাকে বাণিজ্যিকভাবে সফলতা এনে দিচ্ছে। আর এসব সম্ভব হয়েছে সন্তানদের উৎসাহ ও সহযোগিতায়।

খাদিজা আক্তারের ছোট ছেলে শেফায়েত নাশরাত নয়ন বলেন, ’মায়ের একাতিত্বের কথা চিন্তা করে মূলত কিছু ফল গাছের চারা এনে দেই। পর্যায়ক্রমে পাঁচ বিঘা জমিতে সেসব চারা লাগানো হয়েছে। কিন্তু শখের কাজ যে আজ বাগানে রূপান্তরিত হবে ভাবতেই পারিনি। কফি বাগানের সঙ্গে ড্রাগন, শরিফা, রামভূটান, অ্যাভোগ্যাডো, আম ও কোকো গাছও আছে।

এই বাগানটির পরিচর্যায় নিয়োজিত কর্মীরা বলেন, বাগানে তারা ছয়জন নিয়মিত কাজ করেন। গাছগুলোতে যখন ফুল আসে ও ফল ধরে তখন আরও বেশি পরিচর্যা করতে হয়।

জলঢাকা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, উপজেলাটিতে ৬২টি বিভিন্ন ফল ও মিশ্র ফলের বাগানের মধ্যে শুধু একটি কফি বাগান আছে। বাগানটির উদ্যোক্তা জলঢাকার কৈমারী সুনগর গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের স্ত্রী খাদিজা আক্তার। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত সম্ভাবনাময় কফি বাগানটি দেখভাল ও পরিচর্যার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন বলেন, 'নারী উন্নয়নে সরকার বদ্ধপরিকর। খাদিজা আক্তারের আগ্রহ দেখে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ১ হাজার ৫ শত কফির চারা দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকার মাটি পলি-দোআঁশ। এসব মাটিতে কফির ফলন ভালো হয়। পরিশ্রম ও খরচ দুটোই কম। এভাবে কফি বাগান করলে দেশেই কফির বাজার তৈরি হবে।

টিআর/ডাকুয়া

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ