প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১, ০৭:২০ পিএম
রাজধানীর শাহবাগে ‘পিকক বার’-এ অভিযান চালিয়েছে র্যাব-৪। এ সময় বার থেকে
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিপুল পরিমাণ অবৈধ দেশি-বিদেশি বিয়ার ও মদ উদ্ধার করে। এ ছাড়া
চার মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে।
র্যাব বলছে, এসব বিয়ার ও মদ অবৈধভাবে হোম ডেলিভারি দেওয়া
হতো। অভিযানে পিকক বার থেকে পাঁচ হাজার ৪৫৫ বোতল বেশি-বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করা
হয়েছে।
অভিযানকালে বারের মালিক ফিরোজুর রহমানকে পাওয়া যায়নি। অভিযানে গ্রেফতার হওয়া
চারজন হলেন- মো. মজিবুর রহমান (৫০),
মো. লিটন (৩৫), মো. ওলিউর রহমান (৩৮) ও মো. জহিরুল ইসলাম (৩৮)।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো.
মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে র্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সমন্বয়ে রাজধানীর শাহবাগ
থানাধীন নবাব হাবীবুল্লাহ রোডের হোটেল পিকক লিমিটেডের চতুর্থতলা ভবনে অভিযান
চালানো হয়। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত অভিযান
পরিচালনা করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে, অভিযানে হোটেল পিকক লিমিটেড বারের কর্মচারীদের
বসবাসের চতুর্থ তলার খাটের নিচে বিশেষ কৌশলে বানানো বক্সে, চতুর্থ তলায় অবৈধভাবে বানানো সুড়ঙ্গ রুম ও ভবনের নিচে বাইরের পূর্বপাশে কয়লা
রাখার রুমে বানানো সুড়ঙ্গে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মদ ও বিয়ার অবৈধভাবে মজুদ করা
হতো।
র্যাবের আভিযানিক টিম ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক ও পরিদর্শকসহ তাদের আভিযানিক টিম যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে
মাদকদ্রব্য অধিদফতর র্যাবকে নিশ্চিত করে, ওই বারের তৃতীয়
তলায় শুধু তাদের অনুমোদিত গোডাউন রয়েছে। তবে অন্যান্য গোডাউন অবৈধ।
এরপর চতুর্থ তলার সুড়ঙ্গ, খাটের নিচে ও ভবনের নিচে বাইরের পূর্বপাশে কয়লা
রাখার রুমে বিশেষভাবে তৈরি সুড়ঙ্গ থেকে অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা কোটি টাকা মূল্যের
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দুই হাজার ৪৯৬ ক্যান বিদেশি বিয়ার, এক হাজার ৪১৬ ক্যান দেশি বিয়ার,
১১৫ বোতল বিদেশি মদ ও এক
হাজার ৪২৮ বোতল দেশি মদ জব্দ করা হয়।
হোটেল পিকক লিমিটেডের বিভিন্ন নথির মাধ্যমে জানা যায়, ওই বারের মালিক ফিরোজুর রহমান। অভিযানকালে বার ও বাসার মালিককে ডাকা হলেও তারা
উপস্থিত হননি। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও র্যাব-৪ এর নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে হোটেল পিকক-এর কাগজপত্র পর্যালোচনা করা হয়। এতে জব্দ
মাদক অবৈধভাবে অননুমোদিত গোপন স্থানে মজুত রাখা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হওয়ায় তা জব্দ
করা হয়।
এ ঘটনায় পিকক লিমিটেডের মালিক,
বাসার মালিক ও বারের
ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান র্যাবের এ
কর্মকর্তা।