প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১, ০৫:৩২ পিএম
তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান
রতন মিয়া। এক সময় তার সংসারে দেখা দেয় টানাপড়েন। আর্থিক সচ্ছলতায় ফিরতে শুরু করেন
বিদেশি জাতের ছাগল পালন। এ খামার করেই ঘুরিয়েছেন ভাগ্যের চাকা। গুডবাই জানিয়েছেন দরিদ্রতাকে।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরসভার হরিণমাড়ী গ্রামে দেখা যায় রতন মিয়ার খামারের চিত্র। এ সময় একঝাঁক ছাগলের খাবার দিচ্ছেলেন তিনি।
জানা যায়, এক সময়ে রতন মিয়ার সংসারে অসচ্ছলতার সৃষ্টি হয়। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে নানা স্বপ্ন দেখেন তিনি। এরই মধ্যে তিন বছর আগে শুরু করে বিদেশি জাতের ছাগল পালন। কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়া স্থানীয় অন্য একটি খামারিকে অনুসরণ করে নিজ বাড়িতে গড়ে তোলেন ছাগলের খামার। প্রথমে ১৫টি ছাগল কিনে প্রতিপালন শুরু করা হয়। এরপর প্রজনন থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ছাগলের সংখ্যা। এ পর্যন্ত প্রায় ৪০টি ছাগল বিক্রি করেও বর্তমানে তার খামারে রয়েছে আরও ৬০টি ছাগল।
ম্যাচিং পদ্ধতিতে খামার গড়ে তুলেছেন তিনি। জাতের মধ্যে রয়েছে ব্লাক বেঙ্গল, তোজাপাড়ি, হরিয়ান ছাগল প্রভৃতি। রতন নিজেই ছাগলের খাওয়ানো-পরিচর্যা থেকে শুরু করে ছাগলের সব কিছু দেখাশোনা করছেন। এ ছাড়াও বাড়ির পাশের পতিত জমিতে আবাদ করেছেন বিদেশি জাতের ঘাস; যা ছাগলের জন্য উৎকৃষ্টমানের খাবার। ঘাস দিয়েই ছাগলের খাবারের বেশির ভাগ চাহিদা মেটাচ্ছেন। এ অবস্থায় ছাগল পালন করে অনেকটাই স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি।
খামার সম্পর্কে রতন জানান,
একটি ছাগলের বছরে দুইবার প্রজনন ক্ষমতা রয়েছে। প্রতিবার প্রজননে একাধিক বাচ্চা দেয়।
রোগবালাইও কম হয়। বছরে একবার পিপিআর, গডপক্স ভ্যাকসিন দিলেই আর কোনো ওষুধ লাগে না।
দু-চারটে বড়ি লাগলেও লাগতে পারে। অল্প খরচে বেশি আয় করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, ‘ছাগলের খাদ্য হিসেবে খাওয়ানো হয় কাঁচা ঘাস, গম, ভুট্টা ও ছোলা বুটের গুঁড়ো। সেই সঙ্গে সয়াবিন ও খড়ের ছন। যা ছাগলের জন্য খুবই পুষ্টিকর। এ ছাড়াও দেশের বাজারে এসব ছাগলের বেশ চাহিদা রয়েছে। এই খামার করেই আর্থিকভাবে সচ্ছলতা ফিরেছে।’
পলাশবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ
কর্মকর্তা ডা. আলতাফ হোসেন জানান, রতন মিয়ার ছাগলের খামার পরিদর্শন করা হয়েছে। তাকে
লাভবান করতে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
টিআর/এম. জামান