প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১, ০৫:৩১ পিএম
হেফাজতের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, দেশের আলেম-ওলামাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, অনেকে বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে অনিরাপত্তায় ভুগছেন। আবার
কোথাও অজ্ঞাত পরিচয় কিছু লোক গভীর রাতে ঘর থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এসব ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মুহিব্বুল্লাহ
বাবুনগরী আরও বলেন, ‘সম্প্রতি কিছু আলেমকে বিভিন্নভাবে গভীর রাতে
তাদের নিজ বাড়ি থেকে বা অন্য কোনো স্থান থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে খবর পাওয়া
যাচ্ছে। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয় বলে আমরা মনে করি।
কারণ দেশে রয়েছে প্রশাসন, আদালত, কোর্টকাচারি ও
বিচার বিভাগ।’
সাম্প্রতিক বেশ কিছু ‘উদ্ভট বক্তব্য’ আসা ইসলামি বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহিম
গ্রেফতার ও তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পরই এমন বক্তব্য এলো হেফাজত আমিরের কাছ
থেকে। বিবৃতিতে অবশ্য মুফতি ইব্রাহিমের নাম উল্লেখ করেননি মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।
তিনি আরও বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তা
যাচাই-বাছাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে তার যথাযোগ্য বিচার করার সুযোগ রয়েছে। তাহলে
এভাবে ভিন্ন কায়দায় জনগণের মনে হতাশা ও আতঙ্ক সৃষ্টিকারী পদ্ধতির দিকে যেতে হবে
কেন? একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে এসব
অগণতান্ত্রিক নিয়মকে শক্ত হাতে দমন করা না গেলে দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে
পারে। জনমনে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হতে পারে।’
হেফাজতের আমির বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ রাখছি- জনমনে ভয়-ভীতি
ও আতঙ্ক সৃষ্টিকারী কায়দায় কোনো আলেম বা সুনাগরিককে ধরপাকড় করা না হয়। অভিযুক্ত
ব্যক্তিকে, সে যেই হোক না কেন, আইন অনুযায়ী পুলিশ হেফাজতে নিয়ে বিচারাধীন করা হোক।’
মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন,
‘আমরা বলছি না যে, আলেম ওলামারা সবাই নিষ্পাপ বা সবাই দোষ ও অভিযোগমুক্ত। হতে পারে তাদের মধ্যেও
কেউ অপরাধী কিংবা দোষী থাকবেন। কিন্তু আমাদের দাবি হলো, অভিযুক্তদের দেশের সাধারণ নিয়মে বিচারের আওতায় আনলে জনগণ স্বস্তি পাবে। আমরা
চাই, গ্রেপ্তার আলেম ওলামাদের সুষ্ঠু তদন্ত করে
তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করা হোক। সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আলেম ওলামারা এদেশের বা সরকারের শত্রু নন। বরং তারা দেশ ও দশের কল্যাণে সর্বদা
এগিয়ে থাকেন।’
শামীম/ডাকুয়া