প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১, ০৪:২০ পিএম
কক্সবাজার মহেশখালীর গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌস (২৭)। গত ২০ সেপ্টেম্বরের ইউপি ভোট চলাকালে নির্বাচনী সহিংসতায় দুর্বৃত্তদের ছররা গুলির শিকার হন এই গৃহবধূ। সেই থেকে শরীরে ৩৫টি গুলি নিয়ে বেঁচে আছেন তিনি। তবে তার দাবি, প্রতিপক্ষকে গুলি করার দৃশ্য দেখে ফেলায় তাকেও প্রাণে মারার জন্য গুলি করা হয়েছে। গুলি নিয়ে বেঁচে থাকলেও অসহ্য যন্ত্রণায় প্রতিটি দিন পার হচ্ছে তার।
এ ঘটনায় জান্নাতুল ফেরদৌসের শাশুড়ি দিলোয়ারা বেগম বাদী হয়ে বাদশা মিয়ার ছেলে আবদুর রহিম, মো. তারেক, জহির মিয়া ও আবুল বশরের ছেলে আজিজুল বশরসহ আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় অভিযোগ করেছেন।
জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘কুতুবজোম ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার একটি ভোট কেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা গোলাগুলি করে। এ সময় এক ব্যক্তিকে আমার সামনে গুলি করা হয়। আমি এই দৃশ্য দেখে ফেলায় আমাকেও গুলি করে তারা। এমনকি আমার বাড়িতে এসে দরজা-জানালায় গুলি করে। বাড়ির আসবাবপত্রও ভেঙে ফেলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার শরীরে ৩৫টা গুলি রয়েছে। চিকিৎসক বলেছেন, গুলিগুলো বেরও করা যাবে না। হাতটাও অবশ হয়ে যাবে। আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করছি।’
মহেশখালী থানার ওসি আবদুল হাই বলেন, ‘কুতুবজোম ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ জান্নাতুল ফেরদৌসের শাশুড়ি থানায় এজাহার করেছেন। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
টিআর/এম. জামান