• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

শাল্লা হামলা, ভিডিও দেখে গ্রেফতার আরও ২

প্রকাশিত: মে ১০, ২০২১, ০৯:৩৫ পিএম

শাল্লা হামলা, ভিডিও দেখে গ্রেফতার আরও ২

সিলেট ব্যুরো

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সংখ্যালঘু নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। 

গ্রেফতারকৃতরা হলো- দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের ধনপুর গ্রামের আব্দুল রশিদের ছেলে হান্নান মিয়া (৫০) ও পার্শ্ববর্তী চন্ডিপুর গ্রামের সোয়েব মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (২২)। সোমবার (১০ মে) বিকেলে জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল তাদের গ্রেফতার করে। গত ২ মে থেকে নোয়াগাঁও গ্রামের ঘটনায় তিনটি মামলা তদন্ত করছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। 

হান্নান মিয়া সরমঙ্গল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য। মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়াসহ মোট ৫৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি পুলিশ।

দুইজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশের জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ওসি ইকবাল বাহার বলেন, ‘নোয়াগাঁও গ্রামের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে দুইজনকে শনাক্ত করে সোমবার বিকেলে তাদেরকে নিজ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আগামীকাল মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।’ 

জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা মাওলানা মামুনুল হকের সমর্থকরা গত ১৭ মার্চ নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮টি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে লুটপাট চালায়। এ সময় গ্রামের ৫টি মন্দির ভাঙচুর করা হয়। নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামের এক তরুণের ফেসবুক আইডি থেকে মাওলানা মামনুল হককে কটাক্ষ করে কথিত স্ট্যাটাসের প্রতিক্রিয়ায় এই তাণ্ডব চালানো হয়।

নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার থানায় দুটি পৃথক মামলা করা হয়। ১৫০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলার বাদী শাল্লা থানার এসআই আব্দুল করিম। নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর পক্ষে অন্য মামলাটি করেছেন স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল। এর পর ২৫ মার্চ আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সেই ঝুমন দাশের মা নিভা রানী দাশ। পৃথক তিনটি মামলায় আসামি করা হয়েছে দিরাই থানার সরমঙ্গল ইউনিয়নের চন্দ্রপুর ও নাচনী এবং শাল্লা থানার হবিবপুর কাশিপুর গ্রামের নামীয় ৫০ জনসহ ১৫০০ জনকে।

গত ২ মে থেকে তিনটি মামলা তদন্ত করছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সোমবার পর্যন্ত মোট ৫৮ জনকে গ্রেফতার হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। 

ডব্লিউএস/এম. জামান
আর্কাইভ