
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১, ০৬:৫৭ পিএম
কুদরতে খোদা সবুজ, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কেউ খাচ্ছে, আবার কেউ নিজ সঙ্গীকে খাইয়ে দিচ্ছে। কেউ আবার দেখভালে ব্যস্ত। খাঁচায় পোষা পাখির এ এক অন্য রকম সংসার। নানা রঙের পাখির নয়নাভিরাম এমন দৃশ্য চোখে পড়বে কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভার হলপাড়ার মো. রানা ইসলামের পাখি মেলায়। মূলত বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির পাখির খামার ও দোকান রয়েছে তার।
পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি হয়েও শখের বসে দীর্ঘ সাত বছর ধরে পাখি পালন করে আসছেন তিনি। তার খামার ও দোকানে থাকা পাখির মধ্যে রয়েছে- লাভ বার্ড, ককাটেল পাখি, বাজরিকা, প্রিন্স, ডাইমন্ড ঘুঘু, অস্ট্রেলিয়ান ঘুঘু, জেপি, কবুতর প্রভৃতি।
রানা ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে শখের বসে বাজরিকা পাখি থেকে শুরু করি। ধীরে ধীরে পাখির বংশ বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে বাজরিকা পাখি বিক্রি করে ককাটেল পাখি কিনেছিলাম। এরপর ডিম-বাচ্চা দিয়ে দিন দিন পাখির বংশ বৃদ্ধি হতে থাকে।’
রানা আরও বলেন, ‘শখের বসে পাখি পালন করলেও আমার মূল পেশা ছিল রাজমিস্ত্রির কাজ। কিন্তু গত বছর করোনার কারণে সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্থানীয় বাজারে একটি পাখির দোকান দিয়েছি। এখন ভালোই চলছে। বর্তমানে দোকান ও বাড়ি মিলে প্রায় লাখ টাকার পাখি রয়েছে। এই পাখি বিক্রি করে আমার সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশি প্রজাতির এসব পাখির সৌন্দর্যের কারণে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পাখি কেনার জন্য আমার কাছে অনেক মানুষ আসেন। কম খরচে অধিক লাভ হাওয়ায় পাখি পালনে দিন দিন মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। আমার কাছে ৩০০-৭০০ ও হাজার টাকা দামের পাখি আছে।’
রানা ইসলাম বলেন, ‘যদি কেউ পাখির খামার করতে চান তবে প্রথমে কম দামি পাখি দিয়ে শুরু করা ভালো। কারণ পাখি পালন এবং রোগব্যাধি সম্পর্কে জানা লাগে। না হলে লোকসানের আশঙ্কা থাকে।’
পাখির রোগ সম্পর্কে জানান, এসব বিদেশি প্রজাতির পাখির রোগব্যাধি খুবই সীমিত। যত্নে রাখলে এসব পাখির অসুখ খুব কম হয়। তাই অল্প পুঁজিতে মানুষ পাখি পালন করে লাভবান হতে পারেন।’
টিআর/এম. জামান