প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১, ১০:২৪ এএম
মঈনুদ্দীন তালুকদার হিমেল, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
দিগন্ত জোড়া ধানক্ষেতের মাঝেই নির্মাণ হয়েছে একটি ব্রিজ। কিন্তু নির্মাণ হয়নি সংযোগ সড়ক। এ অবস্থায় ব্রিজের প্রকৃত সুবিধা ভোগ থেকে বঞ্চিত স্থানীয়রা। তবে সবুজ প্রকৃতির খোঁজে আসা প্রকৃতিপ্রেমীরা; গোধূলি বিকেলের সূর্যের আলোয় ভিড় জমান এখানে। সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ব্রিজে আনন্দে মেতে ওঠেন তারা। ব্যস্ত হয়ে পড়েন সেলফি ও ছবি তোলায়। এতে করে স্থানীয় ভাবে ব্রিজটি পরিচিতি পেয়েছে সেলফি ব্রিজ নামে।
নয়নাভিরাম প্রকৃতির মাঝে নির্মিত এ ব্রিজটি ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ি ইউনিয়নের গড়িয়ালি গ্রামে অবস্থিত। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সেতু ও কালভার্ট নিমার্ণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৬-১৭ সালে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গড়িয়ালি গ্রামের হিন্দুপাড়া সংলগ্ন খালের ওপর ব্রিজটি দৃশ্যমান থাকলেও দুই পাশে নেই কোনো সংযোগ সড়ক। ব্রিজের ওপর দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটেও যাতায়াত করা যাচ্ছে না। ফলে ব্রিজটি কোনো কাজেই আসছে না স্থানীয়দের।
হিন্দুপাড়া এলাকার সিরাজুল মিয়া বলেন, ‘খালের উপরে যে ব্রিজটি নির্মাণ হয়েছে তা অপরিকল্পিত। এখানে এই ব্রিজ কোনো দরকারই ছিল না। ব্রিজ হলেও রাস্তা না হওয়ায় এটা আমাদের কোনো কাজেই আসছে না। তবে এখানে অনেক মানুষ ঘুরতে আসেন। এসে সেলফি ও ছবি তোলায় মেতে ওঠেন।
এখানে ঘুরতে আসা সবুজ মিয়ার সঙ্গে কথা হয় সিটি নিউজ ঢাকার। তিনি জানান, প্রায়সময়ই বন্ধুবান্ধব নিয়ে এখানে চলে আসেন তারা। ব্রিজে দাঁড়িয়ে সবুজ প্রকৃতি দেখতে তাদের ভালো লাগে। এখানে এসে সবাই ছবি ও সেলফি তোলায় ব্রিজটির নামই হয়ে গেছে সেলফি ব্রিজ। অনেকেই ব্রিজটিকে সেলফি ব্রিজ নামে ডাকে।
বড় পলাশবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম সিটি নিউজকে বলেন, ‘২০১৬-১৭ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের আওতায় ব্রিজ নির্মাণ হয়। কিন্তু কোনো যানবাহন এই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করে না। ব্রিজটির সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
এ ব্যাপারে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, ‘ব্রিজটির সঙ্গে সংযোগ রাস্তা করার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন বলেন, ‘আমার যোগদানের আগেই ব্রিজটি নির্মাণ হয়েছে। ব্রিজ নির্মাণের পর মানুষ চলাচল করে না; সে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ব্রিজটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টিআর/এম. জামান