প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১, ০১:৫৭ পিএম
নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও হাতিয়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) এবং কবিরহাট পৌরসভায় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্র দখল, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এরই মধ্যে ভোট বর্জন করেছেন আওয়ামী লীগের দুইজনসহ পাঁচজন চেয়ারম্যান প্রার্থী। একই অভিযোগ এনে কবিরহাট পৌরসভায় ভোট বর্জন করেছেন ৬ ও ৯ নং ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থী।
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো
প্রার্থীরা হলেন- হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী এ টি এম সিরাজ
উল্লা, বুড়িরচর ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী জিয়া আলী মোবারক কল্লোল, সোনাদিয়া ইউনিয়নের
স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম ওরফে মালয়েশিয়া, চর ঈশ্বর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী
আবদুল হালিম আজাদ, ১১ নম্বর নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান
প্রার্থী মো. মেহেরাজ উদ্দিন। ও একই অভিযোগ এনে ভোট শুরুর পরপরই নির্বাচন থেকে সরে
দাঁড়ান।
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো
বুড়িরচর ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী জিয়া আলী মোবারক কল্লোল অভিযোগ করেন, সকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফখরুল ইসলামের অনুসারীরা ভোট
কেন্দ্রে তার এজেন্টদের প্রবেশে বাধা দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখলে নেন। এই পরিস্থিতিতে তিনি
বাধ্য হয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
একই অভিযোগ করেছেন সোনাদিয়া
ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, তার ইউনিয়নের
১৩টি ভোট কেন্দ্রের প্রতিটিতে নৌকার প্রার্থীর লোকজন প্রভাব বিস্তারের কারণে তার কোনো
এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এ পরিস্থিতিতে তিনি তার ভোটারদের নিরাপত্তার
কথা চিন্তা করে সকাল ৯টায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
নির্বাচন কর্মকর্তা জাকির
হোসেন বলেন, ‘আমি এখনও কোনো প্রার্থীর কাছ থেকে অভিযোগ পাইনি।’ সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছে
বলেও দাবি করেন তিনি।
টিআর/এম. জামান