প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১, ০৮:৩৭ পিএম
মাদারীপুরে সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে স্ত্রী, পুত্র ও কন্যার
যোগসাজশে খলিল শেখ (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে পাগল সাজিয়ে মানসিক হাসপাতালে ভর্তির
অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে হাত-পা বেঁধে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে
নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে এলাকায় ব্যাপক
আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন
এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১০
সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজৈর উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের বৌলগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৪) সেপ্টেম্বর ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ঘরের
দরজা-জানালা বন্ধ করে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধতে রশি ও কাপড় দিয়ে বাঁধছেন কয়েকজন
যুবক ও এক নারী।
এলাকাবাসী
সূত্রে জানা গেছে, মো. খলিল শেখ স্ত্রী হায়াতুন বেগম, দুই
ছেলে নাজমুল শেখ ও আসিব শেখ এবং দুই মেয়ে রাবেয়া আক্তার ও মাহমুদা আক্তারকে নিয়ে
বৌলগ্রাম এলাকায় বসবাস করেন। বিভিন্ন কারণে স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েদের
ওপর ক্ষিপ্ত খলিল তার সম্পত্তি আপন ভাইকে লিখে দিতে পারেন- এমন আশঙ্কায় বাড়ির সবাই
মিলে খলিল শেখকে একটি রুমে আটকে রাখেন। একই সঙ্গে তারা খলিল শেখকে পাগল সাজিয়ে
হাত-পা বেঁধে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যান। এরপর থেকে খলিল শেখের আর কোনো সন্ধান
মেলেনি।
নির্যাতনের
শিকার খলিলের ভাই তারা মিয়া শেখ বলেন, ‘আমার ভাই পাগল না। আমার ভাইয়ের স্ত্রী,
ছেলে
ও মেয়েরা তাকে পাগল সাজিয়ে হাত-পা বেঁধে কোথায় যেন নিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত তার
কোনো সন্ধান পাচ্ছি না। আমি আমার ভাইকে ফিরে পেতে চাই। স্থানীয় অনেক বাসিন্দার
সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা আমার ভাইকে সুস্থ দাবি করেছেন।’
অভিযোগ অস্বীকার
করে খলিল শেখের স্ত্রী হায়াতুন বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী
পাগল। সে প্রায়ই বাড়িঘর ভাঙচুর করে। তাই তাকে বেঁধে প্রথমে ফরিদপুর এবং পরে পাবনার
সুরমা মেন্টাল ক্লিনিকে ভর্তি করেছি। ’
মারধরের অভিযোগ
অস্বীকার করেছেন খলিল মিয়ার মেয়ে মাহামুদা। তার দাবি, মানসিকভাবে
অসুস্থ থাকায় তার বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজৈর থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদিক জানান, এ ব্যাপারে এখনও
কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সবুজ/এম. জামান