প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১, ০৪:৩৫ পিএম
কাসেমুর রহমান শ্রাবণ, মাগুরা প্রতিনিধি
মাত্র দেড় বছর বয়সে
পানিতে পড়ে যান আবুল
বাশার। এর পর পরিবারের
সদস্যরা উদ্ধার করে চিকিৎসা দিলে
সে যাত্রায় বেঁচে যান আবুল বাশার।
তবে হারান চোখের আলো। তবে চোখের
আলো হারালেও থেমে নেই বাশারের
জীবনযুদ্ধ। কারও কাছে হাতও
পাতেন না তিনি।
কখনও
৫০ ফুট উচ্চতায় কখনও
বা এর থেকেও বেশি
উঁচু গাছে অবলীলায় উঠে
যাচ্ছেন আবুল বাশার। নির্ভুলভাবে
নারিকেল গাছের ডগায়, ধারাল দা দিয়ে কাজ
করেন তিনি। তবুও ভুল হয়
না তার। তার এসব
দেখে অবাক হয়ে যান
এলাকার মানুষ।
জীবনযুদ্ধে টিকে থাকা এই নায়কের বাড়ি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের বালিদিয়া গ্রামে।
বাশার
সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন,
‘আমার হাতের অনুভূতি দিয়ে আমি টের
পাই। গাছের গোড়ায় হাতটি রেখে আমি কোনো
কিছু না দেখেও বলে
দিতে পারি গাছ কত
উঁচু।’
তিন সন্তানের এই জনক বলেন শুধু নারকেল গাছ নয়, আমি পুকুরে ডুব দিয়ে মাছ ধরতে পারি। এ ছাড়া আমি চাপকলও ঠিক করতে পারি। নিজ এলাকা ছাড়াও আশপাশের এলাকা থেকে আমাকে খোঁজে চাপকল ঠিক করার জন্য। আমি যন্ত্রপাতি চালাতে পারি, তাই চাপকল ঠিক করা সহজ হয়। এটা অর্জন করতে আমার অনেক পরিশ্রম লেগেছে।
বাসারের
বাবা আবু তালেব বিশ্বাস
জানান, আল্লাহ সব শক্তি ওকে
দিয়েছেন। তার দুই চোখ
অন্ধ হলেও কাজ করে
সংসার চালায়। আমার বয়স হয়েছে।
তাই সংসারের সব দায়িত্ব ওর
কাঁধে। ও নিজে অন্ধ
হয়েও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে কিছু
আয় করে আমাদের খাওয়াচ্ছে।
তার
তিন সন্তানের মধ্যে মেয়েটাকে বিয়ে দিয়েছেন। বাকিরা
পড়াশোনা করছে।
টিআর/এম. জামান