প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১, ০৯:৪১ পিএম
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের পংতিরছা গ্রামে স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যার দায়ে স্বামী জাকির হোসেনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আরও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্য এই রায় দেন।
মামলার
বিবরণে জানা যায়, ২০০০
সালে পারিবারিকভাবে পংতিরছা গ্রামের মেয়ে লিপা আক্তারের
সঙ্গে একই গ্রামের জাকির
হোসেনের বিবাহ হয়। বিয়ের আড়াই
বছরের মধ্যেই লিপার ঘরে জন্ম নেয়
জ্যোতি আক্তার নামের এক কন্যাসন্তান। এ
সময় জাকির পাশের বাড়ির চাচাতো ভাইয়ের বউ তাহমিনার সঙ্গে
পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। আর প্রায় সময়ই
স্বামী জাকির হোসেন স্ত্রীকে নির্যাতন করতে শুরু করে।
২০০৫
সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে
লিপা তার স্বামীর ও
তাহমিনার অনৈতিক কাজ ধরে ফেলে।
এতে জাকির লিপার গলা টিপে হত্যা
করে। পরে তার আড়াই
বছরের শিশু কন্যা ঘটনাটি
দেখে ফেললে আসামি তাহমিনা, স্বপন, জাহাঙ্গীর, হাসান, আমীনুল ইসলাম, পারভেজ রানা মিলে শিশু
জ্যোতিকেও গলা টিপে হত্যা
ও লিপার হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরপর লাশ পাশের
বাড়ি থেকে এনে জাকিরের
বাড়িতে রাখে ও ডাকাতির
নাটক করতে থাকেন।
পরে
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল
থেকে লাশ উদ্ধার করে
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়।
এ সময় জাকির গা-ঢাকা দেয়। লিপার
স্বজনদের বিষয়টি সন্দেহ হলে ২০০৫ সালের
২৭ ফেব্রুয়ারি নিহতদের পিতা আবু হানিফ
বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায়
একটি হত্যা মামলা করেন।
পরে
তাহমিনাসহ অন্য আসামিকে ওই
দিনই পুলিশ গ্রেফতার করে। এতে ২৭
জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর যাবজ্জীবন হওয়া
আসামিদের উপস্থিতি ও জাকির হোসেনের
অনুস্থিতিতে দীর্ঘদিন পর স্বামী জাকির
হোসেনকে ফাঁসি ও অন্য ছয়জন
আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারক। রায়ের
পর আসামি পক্ষের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন।
টিআর/এম. জামান