
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১, ০৯:০৩ পিএম
দীর্ঘ দেড় বছর পর
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও শিবচরে পানিবন্দী ১৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
পাঠদান ব্যাহত হয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর চারপাশে ও কয়েকটি বিদ্যালয়ের
নিচতলায় পানি থাকার কারণে
শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারেনি। এ
ছাড়াও আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত আরও ৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল বেশ কম।
তবে বন্যাকবলিত ২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন
শিক্ষকগণ।
উপজেলা
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা
গেছে, বিদ্যালয় খোলার প্রথম দিনটিকে ঘিরে বেশ কয়েকদিন
আগেই শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ সব আয়োজন সম্পন্ন
করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে শিবচর উপজেলার
১৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্য পদ্মা ও
আড়িয়াল খাঁ বেষ্টিত চর
এলাকার ২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
পাঠদান অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিল। এসব বিদ্যালয়ের
মধ্যে ১৮টি বিদ্যালয় পুরোপুরি
পানিতে প্লাবিত হয় ও ৮টি
বিদ্যালয় কোনো মতে খোলা
সম্ভব হয়। গত দুই
দিনে পানি কমতে থাকায়
বিদ্যালয়গুলোতে আজ আংশিক শ্রেণি
কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তবে
৮টি বিদ্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে এলাকার লোকজন ব্যবহার করলেও প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রছাত্রী না আশায় পাঠদান
ব্যাহত হয়েছে।
বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি
বলেন, ‘আজ প্রথম দিন
হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের অনেক উপস্থিতি দেখা
গেছে। আমরা ৫-৬টি
বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। এ ছাড়া উপজেলার
নদ-নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলের
১৮টি বিদ্যালয় এখনও বন্যার পানিতে
নিমজ্জিত। শিক্ষক উপস্থিত হলেও সব শিক্ষার্থীর
পক্ষে ওই বিদ্যালয়গুলোতে উপস্থিত
হওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে পাঠদান ব্যাহত
হয়েছে সেখানে। এ ছাড়া আরও
৮টি বিদ্যালয়, যেগুলোতে বন্যার্ত অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন সেখানে আংশিক ক্লাস হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল।’
উপজেলা
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জেল হোসেন
বলেন, ‘উপজেলার সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে
পাঠদান হয়েছে। বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে শিক্ষার্থীদের
প্রবেশ এবং পাঠদান চলে
সে বিষয়টি আমরা মনিটরিং করছি।’
টিআর/এম. জামান
![]() | ![]() ![]() | ![]() | ||
![]() | ![]() | ![]() | ||
![]() ![]() | ![]() ![]() | |||
![]() |
| ![]() |