• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১, ০৮:৪৬ পিএম

গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

রংপুর ব্যুরো

প্রায় দেড় বছর প্রাণ ফিরেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে। সরকারি নির্দেশনায় রোববার সারা দেশের মতো রংপুরের প্রাথমিক, মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছিল শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যবস্থা ছিল হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর। তবে ভিন্ন চিত্র ছিল রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার পাটোয়ারীটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

সরকারি নির্দেশনা স্বাস্থ্যবিধি কোনোটাই মানা হয়নি। শ্রেণিকক্ষে সামাজিক দূরত্ব না মেনে গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। এতে করে শিশু শিক্ষার্থীরা করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করেছেন অভিভাবকেরা।

সরেজমিন দেখা যায়, সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার পাটোয়ারীটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শেণিকক্ষে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক। টেবিলের চারপাশ ঘিরে কথা শুনছেন শিক্ষার্থীরা। পাঠদানের সময় সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা, গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে বসানো হয়েছে। শিক্ষকের থুতনির নিচে মাস্ক থাকলেও শিক্ষার্থীদের কারও মুখে মাস্ক নেই। গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতি দেখে প্রধান শিক্ষক তড়িঘড়ি করে ওই ক্লাসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মাস্ক বিতরণ শুরু করেন। অথচ সকাল ৯টায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের ক্লাসে উপস্থিত হয়।

বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য কিছুই বলা হয়নি। করোনা হলে কী হয়, তাও তারা জানে না। বিষয়ে তাদের সচেতন করা হয়নি।

বিদ্যালয়ে আসা এক অভিভাবক বলেন, ‘অনেক দিন পর স্কুল খুলে দেয়ার কথা শুনে শিক্ষার্থীরা আনন্দিত। কিন্তু বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদাসীনতা দায়িত্বে অবহেলার কারণে শ্রেণিকক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে গাদাগাদি জটলা করে পাঠদান করা হচ্ছে। এতে করে শিশুদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা করছি। শহর থেকে গ্রামের অভিভাবকেরা কম সচেতন। তাই আমরা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ করে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করছি।

কাউনিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ সরকার বলেন, ‘আমি নিজে ওই বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করে সরকারি নির্দেশনা না মানার বিষয়টির সত্যতা পেয়েছি। আগামীতে যেন ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহকারী শিক্ষকদের সতর্ক করা হয়েছে। 

প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এম শাহজাহান সিদ্দিক সিটি নিউজকে বলেন, ‘তদন্ত করে ওই বিদ্যালয়ে প্রধানসহ সহকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা মেনেই শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠদান করাতে হবে। যদি কেউ এই নিদের্শনা অমান্য করে তাহলে তদন্ত করে সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টিআর/এম. জামান

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ