প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১, ০২:০৪ পিএম
আশ্চর্য হলেও সত্যি। নিরাপদ
খাবার পানির জন্য বসানো হয়েছিল
সাবমার্সিবাল গভীর টিউবওয়েল। কিন্তু
ওই টিউবওয়েলটি চালু করলেই ওঠছে
গরম পানি। পানি গরম হওয়ায়
ফেটে যাচ্ছে প্লাস্টিকের পাইপ। সেই পানি হাত
দিয়ে ছুঁয়ে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে
মানুষ সেখানে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন। ঘটনাটি
ঘটেছে রংপুর সদর উপজেলার চন্দনপাট
ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামে।
বৃহস্পতিবার
(৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের ওই গ্রামে গিয়ে
জানা যায়, স্থানীয় শফিউল
আলম বাবুর বাড়িতে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে
সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস থেকে নিরাপদ
ও সুপেয় পানির জন্য ৫৪৫ ফিট
গভীর একটি সাবমার্সিবাল গভীর
টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়। কয়েকদিন
ঠাণ্ড পানি ওঠার পর
ওই টিউবওয়েল থেকে গরম পানি
বের হওয়া শুরু হয়।
এ থেকে রেহাই পেতে
একটির পরিবর্তে দুইটি টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। তবু পানির কোনো
পরিবর্তন আসেনি।
এ
বিষয়ে গ্রামের বৃদ্ধ মহসিন মিয়া সিটি নিউজ
ঢাকাকে বলেন, ‘একটি বা দুটি
নয়, মন্ডলপাড়ার প্রায় ১০ থেকে ১১টির
বেশি টিউবওয়েল থেকে দীর্ঘদিন ধরে
গরম পানি উঠছে। আর
এটি দেখতে মেলা দূর থেকে
প্রতিদিন মানুষ এসে ভিড় করছেন।’
স্থানীয়
স্কুলশিক্ষক জয়নাল ইসলাম বলেন, ‘বাবু ভাইয়ের বাড়ির
সামনের এই গভীর টিউবওয়েল
চালু করলে প্রথম এক
মিনিট পানি হাতে ছোঁয়া
যায়। এরপরই ফুটন্ত গরম পানির মতো
পানি বের হতে থাকে।
হাতে বা শরীরে লাগালে
অনেক সময় ফোসকা পড়ে
যায়।’
মন্ডলপাড়ায়
কতদিন থেকে গরম পানি
আসছে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম নামের একজন বলেন, ‘ছোটবেলা
থেকে দেখছি আমাদের গ্রামের টিউবওয়েলে গরম পানি বের
হয়। এই পানি অন্য
এলাকার পানির মতো খেতে স্বাদ
লাগে না। সাবানের পানির
মতো পানি, অনেকটা পিচ্ছিল এবং গন্ধটাও অন্য
রকম।’
শফিউল
আলম বাবু অভিযোগ করে
বলেন,‘ঠাণ্ডা পানি পাবার আশায়
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে ধরনা দিয়ে ৫৪৫
ফিট গভীর সাবমার্সিবাল গভীর
টিউবওয়েল বসিয়েছি। তবু ঠাণ্ডা পানি
পাওয়া যাচ্ছে না। বরং এই
গভীর টিউবওয়েল থেকে আরও বেশি
গরম পানি বের হচ্ছে।’
চন্দনপাট
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান সিটি নিউজ ঢাকাকে
বলেন, ‘বিষয়টি আমি শোনার পর
সেখানে গিয়েছিলাম। আসলেই সেখানকার পানি অত্যধিক গরম।
আসলে
এখানকার পানি দূষিত কিনা
বা এখানকার মাটির নিচে প্রাকৃতিক গ্যাসের
সন্ধান পাওয়া যেতে পারে কিনা
তা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে
চলছে জল্পনা-কল্পনা।’
এদিকে
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে আসেন রংপুর জনস্বাস্থ্য
প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ কুমার সাহা। তিনি বলেন, রংপুরে
এটি নতুন সমস্যা। জিওলজিক্যাল
সমস্যার কারণে এটি হতে পারে।
আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি।
নূর/ডাকুয়া