• ঢাকা মঙ্গলবার
    ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১

কোথায় গেল বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার কোটি টাকা!

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১, ১২:৪৩ পিএম

কোথায় গেল বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার কোটি টাকা!

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরে হাজার জন বিধবা, বয়স্ক প্রতিবন্ধীর মাসিক ভাতার প্রায় কোটি টাকা গায়েব হয়ে গেছে। কোথায় গেল সেই টাকা? তার কোনো সঠিক তথ্য নেই কারও কাছে। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা দায়িত্বপ্রাপ্ত বিকাশ এজেন্ট একে অন্যকে দোষ দিচ্ছেন।

বঞ্চিত এসব ভাতাভোগী নারী-পুরুষ বেঁচে থাকার একমাত্র ভরসা না পেয়ে প্রতিনিয়তই ঘুরছেন জেলা সমাজসেবা অফিসে।

নাটোর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শাহাদৎ হোসেন বলেন, গত অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসের টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পেয়েছে। অনেকে মাসের আবার কেউ কেউ মাসের ভাতার টাকা পাননি।

নাটোর জেলা সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা যায়, নাটোরে ছয় উপজেলায় হাজার জন বঞ্চিত নারী-পুরুষ রয়েছেন। যার মধ্যে নাটোর সদর উপজেলায় ৩৩০ জন, লালপুরে ৮০১ জন, নলডাঙ্গায় ৫৬৩ জন, বাগাতিপাড়ায় ১৭৭ জন, গুরুদাসপুরে ৮০ জন এবং বড়াইগ্রামে ৫৮ জন। এর মধ্যে বয়স্ক ভাতা ১১ হাজার ৭৬ জন, বিধবা ৩৬৮ জন প্রতিবন্ধী ৪৬৫ জন ভাতাভোগী রয়েছেন। মোট হাজার জনের ভাতার পরিমাণ বছরে কোটি ৩৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।

নাটোর শহরের কান্দিভিটুয়া এলাকার রত্না বেওয়া বলেন, ব্যাংকে নিয়মিত বয়স্ক ভাতার টাকা পেতাম। মোবাইলে বিকাশ খোলার পর থেকে আর টাকা পাই না।  এই টাকাই আমার একমাত্র ভরসা।

বিকাশ এজেন্ট মিজানুর রহমান জানান, সমাজসেবা কার্যালয় তাদের যে নম্বর দিয়েছে তারা সেই বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠিয়েছে। সম্পূর্ণ নম্বর ভুল অথবা ডিজিট ভুলের দায় স্থানীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের লোকজনের। এখানে তাদের কোনো ভুল নেই।

বিধবা স্বামী নিগৃহিতা মহিলা ভাতা প্রকল্পের উপ-পরিচালক দেবব্রত দাস বলেন, যেসব ভুয়া মোবাইল অ্যাকাউন্টে টাকা চলে গেছে সেগুলো শনাক্ত করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে বিটিসিএল' সাথে যোগাযোগ করেছি। তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর এসব প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শামীম আহমেদ বলেন, নাটোরের দুই হাজার জন অসহায় ভাতাভোগী যে ক্ষতির শিকার হয়েছেন। তা পূরণের ব্যবস্থা করা হবে। যারা প্রতারণার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সবুজ/ডাকুয়া

আর্কাইভ