• ঢাকা শনিবার
    ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১

২২ বছরের অব্যবহৃত সেতু, ভেঙে পড়ল নৌকার ধাক্কায়

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১, ১২:১৪ পিএম

২২ বছরের অব্যবহৃত সেতু, ভেঙে পড়ল নৌকার ধাক্কায়

বাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

চারদিকে থই থই পানি। মাঝখানে দাঁড়িয়ে সেতু। সংযোগ সড়ক না থাকায় ২২ বছরের মধ্যে এক দিনও ব্যবহার হয়নি সেতুটি। অবশেষে ইটবোঝাই একটি নৌকার ধাক্কায় এটি ভেঙে পড়ে।

সেতুটির অবস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা ধরখার ইউনিয়নে। বনগজ কৃষ্ণনগর গ্রামের মধ্যবর্তী নয়াখালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয় দুই দশকেরও বেশি সময় আগে। কিন্তু তা কোনো কাজেই আসেনি।

স্থানীয়রা জানান, ১৯৯৯ সালে আখাউড়া উপজেলা এলজিইডির অধীনে বনগজ কৃষ্ণনগর গ্রামের মধ্যবর্তী নয়াখালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। উত্তর-দক্ষিণে লম্বালম্বি সেতুটির দুই পাশে নেই সংযোগ সড়ক। সেতুটি সমতল থেকে অন্তত ১৫ ফুট উঁচু হওয়ায় দীর্ঘ ২২ বছরে কেউ কখনো ওঠানামাও করেনি।

অবশেষে শুক্রবার ( সেপ্টেম্বর) সকালে ইটবোঝাই একটি নৌকার ধাক্কায় সেতুটি ভেঙে যায়। ভাঙা অংশ নৌকার ওপর পড়লে নৌকাটিও ডুবে যায়। 

তবে বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, খবর পেয়ে উপসহকারী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলামকে সেতুর কাছে পাঠানো হয়। তিনি প্রতিবেদন দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেতুটি দিয়ে কৃষ্ণনগর গ্রামে সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বৃহত্তর কুমিল্লা প্রকল্পের (জিসিপি-) অধীনে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল।

এদিকে সেতুটি নিয়ে দুই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। এলজিইডির জেলা উপজেলা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সেতুটির দৈর্ঘ্য ১৭ মিটার বা ৭৭ ফুট। সেতুর প্রস্থ ছিল ফুট। লাখ টাকা ব্যয়ে স্বল্প যানবাহন হেঁটে চলাচলের জন্য এই সেতু নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় ব্যক্তিদের মতে, সেতুটির দৈর্ঘ্য ১২০ ফুট প্রস্থ ফুট। তৎকালীন স্থানীয় সাংসদ টিআর, কাবিখা, কাবিটাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ নিয়ে ৪০ লাখের বেশি টাকা খরচ করে সেতুটি নির্মাণ করেন।

টিআর/এএমকে

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ