দেশজুড়ে ডেস্ক
টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে তিস্তার পানি। তবে শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে কমতে শুরু করেছে পানি। এতে লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ভাঙন শুরু হয়েছে নদীর দুই তীরে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে ৫২ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছিল। যা প্রবাহিত হচ্ছে স্বাভাবিকের (৫২ দশমিক ৬০ সেমি) চেয়ে ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ বাড়তে থাকে। শুক্রবার ভোর থেকে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে তিস্তার চরাঞ্চল ও বাম তীরের নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়। এতে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ডুবে গেছে কৃষকের ফসল। তবে বিকেল থেকে পুনরায় কমতে শুরু করে পানি।
তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ কমে যাওয়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে সেখানে। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, আদিতমারী, হাতীবান্ধাসহ পাটগ্রামের দহগ্রামে তীব্র আকার ধারণ করেছে তা।
ভাঙনকবলিত মানুষ বলছেন, প্রতি বছরই তিস্তার পানি বেড়ে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়িসহ আবাদি জমির ফসল।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘ভোর থেকে পানি বেড়ে যাওয়ায় ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছিল। তবে দুপুর থেকে কিছু গেট বন্ধ করে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। যার ফলে পানি কমে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’
ইফাত/এএমকে
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন