প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২১, ০৮:৩৭ পিএম
পটুয়াখালীর কুয়াকাটার সৈকতে আবারও ভেসে এলো ১২
ফুট দৈর্ঘ্যের একটি মৃত ডলফিন।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা
১১টার দিকে সৈকতের ফরেস্ট
ক্যাম্প পয়েন্টে এটিকে স্থানীয়রা দেখতে পান। পরে বনকর্মীরা
ডলফিনটি উদ্ধার করে মাটিচাপা দিয়েছেন।
তবে ডলফিনটির মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এর আগে
ভেসে আসা মৃত ডলফিনের
মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়
বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এ
নিয়ে গত এক মাসে
৯টি ডলফিন ভেসে এসেছে। ডলফিনগুলোর
মারা যাওয়ার সঠিক কারণ জানা
যায়নি। তবে বিষয়টি উদ্বেগ
প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইউএসএআইডি
ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশের ইকোফিশ-২ অ্যাক্টিভিটির সহযোগী
গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, ‘চলতি বছর কুয়াকাটা
সৈকতে বিভিন্ন প্রজাতির ১৭টি ডলফিনের মরদেহ
উদ্ধার করা হয়েছে। প্রত্যেকটির
মুখে জাল পেঁচানো এবং
শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।’ মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।
তবে এ নিয়ে গবেষণা
করা প্রয়োজন বলে মনে করেন
এ গবেষক।
স্থানীয়
জেলে রফিক জানান, মাছটির
শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মনে হচ্ছে তিন-চার দিন আগে
মারা গেছে। সৈকতে ঘুরতে এসে সকালে ডলফিনটিকে
দেখতে পান।
শাহাবুদ্দিন
নামে স্থানীয় আরেক জেলে জানান,
কয়েকদিন ধরেই সাগরতীরে মৃত
ডলফিন ভেসে আসছে। এগুলো
মারা যাওয়ার কারণ বোঝা যাচ্ছে
না।
কুয়াকাটা
ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান
ইমতিয়াজ তুষার জানান, চলতি বছরে যতগুলো
ডলফিন আসছে তার মধ্যে
এটি সবচেয়ে বড়। এর দৈর্ঘ্য
১২ ফুটের বেশি। ডলফিনের মৃত্যু রোধে খুব দ্রুত
ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
কলাপাড়া
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন,
‘এটি ইরাবতি ডলফিন। মৃত এ ডলফিনটি
উদ্ধার করে মাটি চাপা
দেয়া হয়েছে।’ পরবর্তীতে আর কোনো মৃত
ডলফিন ভেসে এলে সেগুলোর
খাদ্যপ্রণালী সংগ্রহ করে মৃত্যুর রহস্য
উদঘাটনের জন্য বাংলাদেশ কৃষি
বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হবে বলে তিনি
জানান।
জেডআই/এম. জামান