• ঢাকা শুক্রবার
    ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে ফসল রক্ষায় স্বেচ্ছায় বাঁধ নির্মাণ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২১, ০৯:৪৩ পিএম

টাঙ্গাইলে ফসল রক্ষায় স্বেচ্ছায় বাঁধ নির্মাণ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের কালিহাতীর ঝিনাই নদীর বাগুটিয়া উত্তর পাড়া অংশের ভাঙনে ১৩৫ একর আমনের ফসল রক্ষায় গ্রামবাসী স্বেচ্ছায় বাঁধ নির্মাণ করেছেন। গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ উজান থেকে নেমে আসা ঢলে যমুনায় পানি বাড়ায় ঝিনাই নদীতেও পানি বাড়া অব্যাহত আছে।

গত রোববার উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের বাগুটিয়া উত্তর পাড়া অংশে ঝিনাই নদীর পাড় ভেঙে বাগুটিয়া গ্রামের উত্তর পাড়া চকের আমনের জমি তলিয়ে যায়। ফসল রক্ষায় স্থানীয় গ্রামবাসী বাঁশ, খড়, ত্রিপল মাটির বস্তা দিয়ে বিশেষভাবে বাঁধ তৈরি করে। এতে জমি থেকে পানি নেমে গিয়ে জমি থেকে দুই ফুট উপরে বাঁধে পানিপ্রবাহ থেমে নদীতে স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হচ্ছে। বাঁধ না হলে উপজেলার পূর্ব মধ্যাঞ্চলের আবাদি জমি হুমকিতে পড়ত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

অচিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে পানি আরও বাড়লে চাপে বাঁধ ভেঙে ফসলি জমি তলিয়েও যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসী।

স্বেচ্ছায় কাজ করা জসিম আলী বলেন, ‘জমির ফসল খুব কষ্টে আবাদ করেছি এখন নদীর পানি গিয়ে তা নষ্ট হয়ে যাবে তাই নিজেরা এলাকাবাসী টাকা তুলে এই বাঁধ নির্মাণ করার জন্য চেষ্টা করছি।

ফরিদ হোসেন নামে একজন বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কেউ এগিয়ে না আসায় নিজেদের ফসল জমি রক্ষায় প্রত্যেকে বাঁশ, টাকা শ্রম দিয়ে অর্ধলাখের বেশি টাকা খরচ করে বাঁধ দিয়েছি। এখানে প্রতি বছরই ভাঙে, গত বছর এই চকের পুরো জমিসহ উপজেলার পূর্ব-মধ্যাঞ্চলের আবাদি জমি তলিয়ে গেছিল। তার আগের বছর প্রশাসন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাঁশের হালকা বাঁধ দিয়েছিল। ব্লকের বাঁধ না দিলে প্রতি বছরই ভেঙে জমি তলিয়ে আমনের আবাদ হুমকিতে পড়বে। আমাদের রিজিক ধান জমি রক্ষায় অচিরেই বাঁধ চাই।

বিষয়ে বাংড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসমত আলী বলেন, ‘গত বছর ওই জায়গায় ভেঙে যায় পরে যখন নদী থেকে পানি চলে যায় তখন মাটি দিয়ে ভরাট করার চেষ্ঠা করা হলেও আশপাশে কেউ মাটি না দেওয়ার ফলে তা আর ভরাট করা সম্ভব হয়নি। তবে যারা কাজ করছে তা অবশ্যই ভালো কাজ।

ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা তানজিন অন্তরা জানান, ‘সরেজমিনে পরিদর্শন করে ফসল রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সকল দফতরের সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নূর/এম. জামান

আর্কাইভ