প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২১, ০১:৪৪ পিএম
তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার
সাদুল্লাপুর উপজেলা দিয়ে বয়ে গেছে
ঘাঘট নদ। এ নদের
অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও
বসতবাড়ি। একই সঙ্গে ঝুঁকিতে
রয়েছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ৪০টি পরিবারের ঘরবাড়ি।
মঙ্গলবার
(৩১ আগস্ট) সকালে উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়,
ঘাঘট নদ ভাঙনের ভয়াবহ
চিত্র। এ সময় রাক্ষুসী
নদের দিকে অবাক চোখে
তাকিয়ে ছিলেন মছিরন বেওয়া নামে এক বৃদ্ধা।
স্থানীয়
সূত্রে জানা যায়, ঘাঘট
নদের তীরবর্তী জামুডাঙ্গা (খুনিয়াপাড়া) এলাকায় প্রায় পাঁচ বছর ধরে
ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৬০০ একর আবাদি
জমি ও শতাধিক ঘরবাড়ি
নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। রাক্ষুসী
এই নদের থাবায় অনেকে
সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন।
নতুন করে ঘাঘট নদের তীরবর্তী প্রায় ৪০টি পরিবার ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়া চলাচলের রাস্তা, কালভার্ট, কবরস্থান, ঈদগাহ মাঠও বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় নদের প্রবাহ পরিবর্তন করা না হলে, ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলো হারাতে পারে তাদের বাপ-দাদার ভিটেমাটি।
ভুক্তভোগী
মছিরন বেওয়া সিটি নিউজকে জানান,
মাত্র দুই শতক জমিতে
ঘরবাড়ি আছে তার। এ
ছাড়া অন্য কোথাও জমি
নেই। যেভাবে নদী ভাঙন শুরু
হয়েছে, এতে করে হারাতে
হবে ঘরবাড়ি ও সহায় সম্বল।
আরেক
ভুক্তভোগী হারেজ আলী জানান, এখানকার
ঘাঘটের ভাঙন ঠেকানোর জন্য
স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ পানি
উন্নয়ন বোর্ডে আবেদন করেও কোনো কাজ
হয়নি। নদের প্রবাহ পরিবর্তন
করা হলে জামুডাঙ্গা খনিয়াপাড়া
গ্রামের প্রায় অর্ধশত পরিবার রেহাই পাবেন।
ভাঙনের
বিষয়টি স্বীকার করেছেন দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এজেডএম সাজেদুল ইসলাম স্বাধীন।
তিনি
সিটি নিউজকে বলেন, নদী খনন প্রকল্পের
আওতায় ভাঙন রোধ করা
দরকার। এটি নিরসনে সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষের নিকট ব্যবস্থা নেয়ার
দাবি জানান তিনি। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন র্বোডের
নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, এরই মধ্যে ভাঙন
এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। বরাদ্দ
পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টিআর/এএমকে