
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫, ১১:২৫ পিএম
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে ছিটকে গেছে অস্ট্রেলিয়ার তিন তারকা পেসার মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজেলউড ও প্যাট কামিন্স। তাই তরুণ পেস ইউনিট নিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল অজিরা। বোলিং লাইন দুর্বল হওয়ায় টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়েছিল অজিরা। আর এই সুযোগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৩৫১ রানের পুঁজি পেয়েছিল ইংল্যান্ড।
লক্ষ্য বড় হলেও অজি অধিনায়ক স্মিথ ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে যে ভুল করেনি তা প্রমাণ করে দিয়েছেন তার সতীর্থরা। জবাব দিতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ইতিহাস গড়ে ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় জয় চেজ করে।
এর আগে ২০১৭ সালে ভারতের দেওয়া ৩২২ রানের জবাব দিতে নেমে জয় তুলে নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। এটি এখন দুই মেনে এসেছে, আর তৃতীয়তে রয়েছে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড ম্যাচ। একই আসরে ৩০৬ রানের জবাবে ৮ উইকেটের জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে অস্ট্রেলিয়ার এই জয় সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়াকে পাহাড় সমান ৩৫২ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল ইংল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ১৫ বল এবং ৫ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নিয়েছে অজিরা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ৫ বলে ৬ রান করে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার ট্রাভিস হেড। ৬ বলে ৫ রান করে তাকে সঙ্গ দেন অভিজ্ঞ স্মিথ। তবে মানার্স লাবুশেনকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ম্যাথিউ শর্ট।
৪৭ বলে ফিফটি তুলে নেন এই অজি ওপেনার। তবে তিন রানের জন্য ফিফটি তুলতে পারেননি লাবুশেন। ৪৫ বলে ৪৭ রান করে আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। এরপর ৬৬ বলে ৬৩ রান করে ক্যাচ আউট হন শর্ট।
এরপর দলের হাল ধরেন অ্যালেক্স ক্যারি ও জস ইংলিশ। দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ের পথে ছুটতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। ৬৩ বলে ৬৯ রান করে ক্যারি আউট হলেও ৭৭ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন ইংলিশ। শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
তার ১৫ বলে ৩২ রান এবং ইংলিশের ৮৬ বলের অপরাজিত ১২০ রানে ভর করে ১৫ বল এবং ৫ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। এতে জয় দিয়ে আসর শুরু করেছে তারা।
ইংল্যান্ডের হয়ে মার্ক উড, জোফরা আর্চার, ব্রাইডন কার্সি, আদিল রশিদ ও লাইম লিভিংস্টোন একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ইংল্যান্ড। ৬ বলে ১০ রান করে ফেরেন ওপেনার ফিল সল্ট। তিনে ব্যাট করতে নামা স্মিথ করেন ১৩ বলে ১৫ রান। তবে জো রুটকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন বেন ডাকেট।
দুজনের ব্যাটে ভর করে ২০ রানের কোটা পার করে ইংল্যান্ড। ৪৯ বলে ডাকেট এবং ৫৬ বলে ফিফটি তুলে নেন রুট। তবে বেশি দূর যেতে পারেনি রুট। ৭৮ বলে ৬৮ রান করে লেগ বিফোরে কাটা পড়েন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে ৯৫ বলে ফিফটি তুলে নেন ডাকেট।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি হ্যারি ব্রুক ও জস বাটলার। ৬ বলে ৩ রান করেন ব্রুক এবং ২১ বলে ২৩ রান করে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন ইংলিশ অধিনায়ক। তবে ব্যাট চালিয়ে ১৩৪ বলে ব্যক্তিগত ১৫০ রান তুলে নেন ডাকেন। শেষ দিকে তাকে সঙ্গ দিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন লাইম লিভিংস্টোন।
১৭ বলে ১৪ রান করে লিভিংস্টোন আউট হলে নিজেকে ধরে রাখতে পারেন ডাকেটও। ৪৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে এই ইংলিশ ওপেনারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন লাবুশেন। ১৪৩ বলে ১৬৫ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আর্চারের ১০ বলের অপরাজিত ২১ রানে ভরে করে ৩৫১ রানের বড় পুঁজি পেয়েছিল ইংল্যান্ড।