প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২১, ০৩:২৪ পিএম
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বন্ধ রয়েছে ফেরি
চলাচল। অন্যদিকে পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত অব্যাহত। যার কারণে ফেরি
পারাপারে যানবাহনের চাপ বেড়েছে পাটুরিয়া
-দৌলতদিয়া নৌরুটে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা
করেও মিলছে না পারাপারের টিকিট।
ফেরি
পার হতে সময়ও লাগছে
দ্বিগুণ। সব মিলিয়ে ভোগান্তি
পেহাতে হচ্ছে ফেরি পারের অপক্ষায়
থাকা যানবাহন শ্রমিক ও যাত্রীদের।
নদীতে
পানি বাড়ায় দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার প্রবেশপথ
পাটুরিয়ার তিনটি পন্টুনের মধ্যে ৫ নম্বর পন্টুনটি
সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা
হয়েছে। বাকি দুটি পন্টুন
দিয়ে ফেরি লোড, আনলোড
হচ্ছে। ছোট বড় ১৬টি
ফেরি দিয়ে শনিবার (২৮
আগস্ট) যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
অন্যদিকে,
আরিচা-কজিরহাট নৌরুটেও তীব্র স্রোত আর ফেরি-সংকটের
কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত
হচ্ছে। এই নৌরুট পার
হতে যানবাহনগুলোকে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০
ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এই
নৌপথে চলাচলকারী চারটি ফেরির মধ্যে গোলাম মওলা ও কলমিলতা
নামের ছোট দুটি ফেরি
দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে। যে
ফেরি দুটি দিয়ে দিনে
সর্বোচ্চ ১০০ যানবাহন পারাপার
করা যায় বলে জানিয়েছেন
ফেরি কতৃপক্ষ।
শনিবার
দুপুর ১২টার দিকে পাটুরিয়া প্রান্তে
৫ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক, শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও ছোট
যানবাহন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায়
আছে। তবে বেলা বাড়ার
সঙ্গে সঙ্গে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বাড়ছে। অন্যদিকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথেও যানবাহনের চাপ রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম মো. জিল্লুর রহমান
বলেন, নদীতে তীব্র স্রোত অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ
থাকায় প্রতিদিন এ নৌপথে যানবাহনের
সারি দীর্ঘ হচ্ছে। বর্তমানে দুটি ঘাট দিয়ে
১৬টি ফেরির মাধ্যমে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। আর
আরিচা-কাজিরহাটে ছোট দুটি ফেরি
দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার
করা হচ্ছে।
শিবালয়
থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফিরোজ কবির
বলেন, পাটুরিয়ায় যানজট এড়াতে উথুলি সংযোগ মোড়ে পণ্যবাহী ট্রাক
আটকে রাখা হয়েছে। পাটুরিয়ায়
যানবাহনের চাপ কমলে ওই
ট্রাকগুলো সিরিয়াল অনুযায়ী ছেড়ে দেয়া হবে।
টিআর/নির্জন