প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২১, ০৫:০৮ পিএম
ফসল উৎপাদনের জন্য
বিখ্যাত যমুনা নদীর চরাঞ্চল। কিন্তু
এখন ফসল ছাড়াও চাষ
করা হচ্ছে ঘাস। বিভিন্ন ধরনের
ঘাস চাষ করে জীবিকা
নির্বাহ করছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অনেক মানুষ।
সরেজমিন
যমুনার গোবিন্দাসী ঘাটে এ চিত্র
দেখা গেছে। ভোর হতে না
হতেই এখানে জমা হয় ঘাসের
স্তূপ। বিভিন্ন এলাকার মানুষ আসেন ঘাস কিনতে।
গরু-ছাগলের খাদ্য হিসেবে পরিচিত এসব ঘাস। নেপিয়ার,
দূর্বাঘাস, গর্বাঘাসসহ আরও অনেক রকমের
ঘাস বিক্রি হয় সেখানে। বিক্রি
হয় কাঁঠাল পাতাও। যমুনা চরাঞ্চলের মানুষ বর্তমানে এখান থেকেই আয়ের
উৎস বের করার চেষ্টা
চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা যায়, প্রতি আঁটি দূর্বাঘাস ৭০-৮০ টাকা, গর্বাঘাস ৭০-৮০ টাকা, নেপিয়ার ঘাস প্রকারভেদে ৩০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এক আঁটি কাঁঠাল পাতা ৩০ টাকা।
ঘাস বিক্রি করতে আসা কালিপুর গ্রামের মিজানুর (৩৫) বলেন, ‘চরাঞ্চলে ঘাস চাষ করে প্রতিদিন এখানে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করি। যমুনার পানি বাড়ার কারণে ঘাস ডুবে যাওয়ায় একটু চিন্তায় আছি। তবুও সংসার চালাচ্ছি। তা ছাড়া সারা বছরই ঘাস চাষ করে সেগুলো বিক্রি করে পরিবারের প্রয়োজন মেটানো যায়।’
ঘাস
বিক্রেতা ফজল শেখ (৬০)
জানান, প্রতিদিন এখানে অনেক মানুষ ঘাস
কিনতে আসেন। আমরা ঘাস বিক্রি
করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছি। এ ছাড়া ঘাস
বিক্রির টাকায় অনেকের ভালো আয়ও হয়।
ঘাস
বিক্রি করতে আসা রুলিপাড়া
গ্রামের রাব্বি (১৯) জানান, আমরা
গরিব মানুষ। ঘাস বিক্রি আর
মাছ বিক্রির টাকায় সংসার চালাই। আমার লেখাপড়ার খরচও
এখান থেকে চালাই।
ঘাস বহন করা নায়িব (২৭) জানান, আমি ভ্যান নিয়ে প্রতিদিন এখানে চলে আসি। ঘাস পরিবহন করে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করছি। চরাঞ্চলে ঘাস চাষ ভালো হয়। তাই সকাল সকাল এখানে ঘাস বহন করতে চলে আসি।
ঘাস ক্রয় করতে আসা জুরান আলী (৬২) জানান, আমি প্রায়ই আসি এই ঘাসের বাজারে। আজকে তিন আঁটি ঘাস কিনেছি ৯০ টাকা দিয়ে। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ এখানে ঘাস কিনতে আসেন।
যমুনার
তীর ঘেঁষা এই বাজার একসময়
টাটকা মাছের বাজার হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেও বর্তমানে
এটি ঘাস বাজার হিসেবে
পরিচিতি পেয়েছে। ভবিষ্যতে এটি আরও পরিচিতি
লাভ করবে বলে আশা
ঘাস ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের।
সবুজ/এম. জামান