প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২১, ০৩:২৩ পিএম
মানিকগঞ্জের
শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীতে
পানি বাড়তে থাকায় জেলার দৌলতপুর, শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন
এলাকা।
এরইমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে জেলার
বিভিন্ন এলাকার ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। ভাঙনের কবলে পড়েছে অনেক গ্রামের রাস্তাঘাট ও ফসলি
জমি। পানিবন্দী হয়ে বিপাকে পড়েছেন হাজারও মানুষ। এ ছাড়া পদ্মাসহ জেলার অভ্যন্তরীণ ইছামতী,
ধলেশ্বরী ও কালীগঙ্গা নদীর পানিও বাড়ছে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে পানিরস্তর পরিমাপক মো. ফারুক হোসেন জানায়, আরিচা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে
জানা গেছে, নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি, বাঘুটিয়া, শিবালয় উপজেলার
অন্বয়পুর, আরিচা, নেহালপুর, জাফরগঞ্জ, ঘিওর উপজেলার সিংজুরি, বড়টিয়া, সদর উপজেলার কুশেরচর,
হরিরামপুর উপজেলার ধুলশুরা, কাঞ্চনপুর, সুতালড়ী, লেছড়াগঞ্জ, আজিমনগর ইউনিয়নের চরাঞ্চল
ও নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় হুমকির মুখে রয়েছে বহু ঘরবাড়ি,
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, বর্ষা মৌসুম আসলেই জেলার ৫০ কিলোমিটার এলাকা পদ্মা ও যমুনা নদীর ধারে হওয়ায় প্রতিবছর এসব এলাকা ভাঙনের কবলে পড়ে। হরিরামপুরের ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৬ হাজার জিও ব্যাগ দিয়েছে। ইতোমধ্যে সাড়ে ৩ হাজার ব্যাগ ফেলা হয়েছে।
এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বেড়িবাঁধ
নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। জরুরিভাবে বিভিন্ন এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলেও
ভাঙনরোধের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
টিআর/সবুজ/নির্জন