• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

সমঝোতা বৈঠকে ডাকা হয়নি ইউএনওকে!

প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২১, ০১:১৩ পিএম

সমঝোতা বৈঠকে ডাকা হয়নি ইউএনওকে!

বরিশাল ব্যুরো

বরিশালে সদর উপজেলা ইউএনওর বাসায় হামলার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলার পর অবশেষে সমঝোতা হয়েছে। রোববার (২২ আগস্ট) দিবাগত রাতে এক সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে বৈঠকে মেয়র, জেলা প্রশাসন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকলেও ডাকা হয়নি ইউএনও মুনিবুর রহমানকে।

বিষয়ে ইউএনও মুনিবুর রহমান বলেন, ‘আমাকে বৈঠকে ডাকা হয়নি। তবে সেখানে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা আমারও সিদ্ধান্ত।

বৈঠকে উপস্থিত সবাই বিষয়টিকে ভুল বোঝাবুঝি হিসেবে উল্লেখ করেন। সভায় উপস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেই ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। আর যাতে ধরনের ঘটনা না ঘটে বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে।

সময় উপস্থিত ছিলেনসিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল ইসলাম বাদল, ডিআইজি আক্তারুজ্জামান, পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার, পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সরকারি আইনজীবী একেএম জাহাঙ্গীরসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, বুধবার (১৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২০ থেকে ২৫ জন কর্মচারী নগরের সিঅ্যান্ডবি রোডে উপজেলা পরিষদ এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতার শুভেচ্ছা ব্যানার অপসারণের কাজ শুরু করে। সময় ইউএনওর কার্যালয় সরকারি বাসভবনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা তাদের পরিচয় জানতে চান। এরপর তারা সকালে এসে কাজ করার জন্য বলেন। সময় সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের সঙ্গে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের বাগবিতণ্ডা হয়। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী সেখানে যান। পরে সেখানে আনসার সদস্যদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহও সেখানে উপস্থিত হন। সময় নেতাকর্মীরা ইউএনওর বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছোড়েন আনসার সদস্যরা। হামলা সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন ওসি প্যানেল মেয়রসহ সাতজন। ছাড়া পুলিশের লাঠিচার্জে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।

ওই ঘটনায় ইউএনও পুলিশের পক্ষ থেকে মেয়রসহ আওয়ামী লীগের ছয় শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। তাদের মধ্যে ২২ জন কারাগারে আছেন। পরবর্তী সময়ে মেয়রের পক্ষ থেকে ইউএনও এবং ওসিসহ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হলে বিচারক পিআইবিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

সবুজ/এএমকে

আর্কাইভ