তাহজীবুল আনাম, কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড’ মহেশখালী। এখানে পর্যটক আকর্ষণে রয়েছে রাখাইন পল্লী, আদিনাথ মন্দির ও সোনাদিয়ার মনোরম পর্যটন স্পট। অবশেষে এবার ছোট মহেশখালীর লাম্বা ঘোনায় দুই একর জমিতে নির্মিত হলো শেখ রাসেল শিশুপার্ক। এটি কক্সবাজার জেলার প্রথম শিশুপার্ক।
পর্যটক ছাড়াও স্থানীয়দের কাছে বিশেষ করে শিশুদের মানসিক বিকাশ ও ইতিহাস চর্চার অন্যতম বিদ্যাপীঠ হিসেবে এই পার্ক। যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদী ইতিহাসবিদেরা। এই শিশুপার্ক নির্মাণের মধ্য দিয়ে দ্বীপবাসীর অনেক দিনের প্রত্যাশা পূরণ হলো।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তত্ত্বাবধানে ছোট মহেশখালীর লম্বা ঘোনা বাজার সন্নিকটে এই শিশুপার্কের নামকরণ করা হয়েছে। গত ২২ জুলাই এই পার্কের উদ্বোধন করেন কক্সবাজার (২) মহেশখালী কুতুবদিয়া থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক। উদ্বোধনের পর থেকে সকলের জন্য উম্মুক্ত করা হয় এই পার্ক। প্রতিদিন শত শত স্থানীয় লোকজন বাচ্চাদের নিয়ে পার্কে আসছেন।
পর্যটন স্পট খুলে দেয়া হলে দৈনিক শত-সহস্রাধিক লোক শেখ রাসেল শিশুপার্কে ভিড় করবেন বলে আশাবাদী মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান।
পার্কে সাত বছরের বাচ্চা নিয়ে দেখতে আসা সাংবাদিক আমিনুল হক জানান, শিশু বিনোদনের জন্য নিরিবিলি প্রাকৃতিক মনোমুগ্ধকর আকর্ষণীয় স্থান ছোট মহেশখালীর এই স্থানটিতে শিশুপার্ক নির্মিত হওয়ায় শিশু বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ হলো।
ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিহাদ বিন আলী বলেন, ‘আমি গর্বিত, জেলার প্রথম শেখ রাসেল শিশুপার্ক আমার ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে। এজন্য সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমানকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
উপজেলা চেয়ারম্যান শরীফ বাদশাহ বলেন, ‘এই শিশুপার্ক বাড়তি বিনোদনের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।’
ছোট মহেশখালীর শেখ রাসেল শিশুপার্কটি ঐতিহাসিক মৈনাক পর্বতের পাদদেশে নান্দনিক নৈসর্গিক বৈচিত্র্য সৌন্দর্যের আঁধারে গড়ে উঠেছে এই শিশুপার্ক। এতে বাঘ, হরিণ, ঘোড়া, হাতি, জিরাফসহ রকমারি রাইড ও নানা বিনোদনের অবকাঠামো দিয়ে সাজানো হয়েছে এই পার্ক।
টিআর/এএমকে
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন