• ঢাকা রবিবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ঈদের তৃতীয় দিনেও চলছে চামড়া বেচাকেনা

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২১, ০৫:৩২ পিএম

ঈদের তৃতীয় দিনেও চলছে চামড়া বেচাকেনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনেও ঢাকার বিভিন্ন সড়ক, অলিগলিতে চলছে পশু কোরবানি। চলছে পশুর চামড়া বেচাকেনা। শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর লালবাগ পোস্তা এলাকায় চামড়া বেচাকেনার দৃশ্য দেখা যায়।

রাজধানী ঢাকা আশপাশের জেলাগুলো থেকে কোরবানির পশুর চামড়া আসছে পোস্তা এলাকায়। একদিকে চকবাজার অপরদিকে লালবাগ এলাকায় পৌঁছলেই নাকে আসে পচা চামড়ার গন্ধ। সামনে এগোতে থাকলে গন্ধ আরও প্রকট হয়।

গত বছরের তুলনায় এবার চামড়ার সরবরাহ বেশি হলেও ছাগলের চামড়া গরুর মাথার চামড়া বিক্রি করা যায়নি। ফলে দূর থেকে যারা বিক্রির উদ্দেশ্যে ছাগলের চামড়া এনেছেন তারা তা বিক্রি করতে না পেরে রাস্তায় ফেলে দিয়ে চলে গেছেন। অন্যদিকে বছর পোস্তায় কোনো ব্যবসায়ী আসেননি গরুর মাথার চামড়া কেনার জন্য। ঘটনা এবারই প্রথম।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীর পোস্তায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলা দায়। হাঁটাও সম্ভব নয়। কারণ স্তূপ হওয়া পচা চামড়ার ওপর দিয়ে যানবাহন চালানো সম্ভব নয়, অপরদিকে তা পেরিয়ে হাঁটাও দুষ্কর। স্থানীয়রা এর মধ্য দিয়েই চলাফেরা করছেন।

পোস্তা এলাকায় কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করতে এসেছেন সাব্বির আহমেদ নামে কেল্লার মোড় বাজার এলাকার এক তরুণ। তিনি বলেন, ‘আমাদের গরু এক লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কেনা ছিল। সেই গরুর চামড়া ৪০০ টাকায় বিক্রি করলাম।

পোস্তা এলাকায় চামড়ার ব্যবসায়ী অহিদুল্লাহ সরকার বিভিন্ন স্থান থেকে নিয়ে আসা চামড়া ক্রয় করছেন। তিনি বলেন, ‘যারা একের অধিক কোরবানি করেন, আবার অনেকে বিভিন্ন কারণে ঈদের দিন কিংবা ঈদের পরের দিন কোরবানি দিতে পারেন না; তারাই মূলত ঈদের তৃতীয় দিন কোরবানি করেন।

ক্ষুদ্র আড়তদার শাকিল আহমেদ বলেন, “রাজধানীতে কোরবানি হওয়া পশুর চামড়া সবই এসে গেছে। আজও আসছে মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জের চামড়া। এগুলোই কিনছি। দাম গত বছরের তুলনায় এক-দেড়শটাকা বেশি। গত বছর সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা দিয়ে প্রতি পিস চামড়া কেনা হলেও বছর তা কিনতে হচ্ছে ৭০০ থেকে সাড়ে ৭০০ টাকা দিয়ে। লবণ মাখায় আরও খরচ হচ্ছে ৩০০ টাকা। ফলে প্রতি পিস চামড়ার দাম গড়ে এক হাজার টাকার কম-বেশি পড়ছে। এগুলোই কিছু দিন পরে ট্যানারি মালিকদের কাছে ফুট হিসেবে বিক্রি করা হবে। আশা করছি, বছর ব্যবসা ভালো হবে।

ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুযায়ী, বছরে বাংলাদেশে প্রায় ২২ কোটি বর্গফুট চামড়া পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৬৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ গরুর চামড়া, ৩১ দশমিক ৮২ শতাংশ ছাগলের, দশমিক ২৫ শতাংশ মহিষের এবং দশমিক শতাংশ ভেড়ার চামড়া।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকায় বছর লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪০ থেকে ৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা দর নির্ধারণ করা হয়েছে।

মামুন/এম. জামান

আর্কাইভ