প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২১, ০৩:৫৬ পিএম
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় হাটের পাশাপাশি অনলাইনেও পশু বেচা-কেনার
ব্যবস্থা করেছে সরকার। ইতোমধ্যে জমে উঠতে শুরু
করেছে ডিজিটাল পশুর হাট। এ
পর্যন্ত তিন লাখ ১৮
হাজার ৫০৭টি পশু বিক্রি হয়েছে।
যার বাজারমূল্য দুই হাজার ২০৬
কোটি ৬২ লাখ ৪৩
হাজার ৫৬৮ টাকা।
প্রাণিসম্পদ
অধিদফতরের কোরবানিযোগ্য পশু বিক্রয় কার্যক্রম
অগ্রগতির সবশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে
এসেছে।
প্রতিবেদন
অনুযায়ী, কোরবানিযোগ্য পশুর অনলাইন বাজার
বসেছে প্রায় ১৮০০টি। গত ২ জুলাই
থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত
১৭ দিনে অনলাইনে ৩
লাখ ১৮ হাজার ৫০৭টি
পশু বিক্রি হয়েছে। এসব হাটে মোট
গবাদিপশুর ছবি আপলোড হয়েছে
১৭ লাখ ৫৩ হাজার
৫৬টি।
রোববার
(১৮ জুলাই) অনালাইন হাটে ২৮ হাজার
৬৮৮টি পশু বিক্রি হয়েছে
১৯৫ কোটি ৭৮ লাখ
৫৩ হাজার ৯৭০ টাকায়। এদিন
অনলাইনে পশুর ছবি আপলোড
হয়েছে ৪২ হাজার ৩৪০টি।
প্রাণিসম্পদ
অধিদফতরের দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ
করে দেখা গেছে, অনলাইনে
পশু বিক্রিতে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে
চট্টগ্রাম বিভাগ। এ বিভাগে এখন
পর্যন্ত মোট ১ লাখ
৪৯ হাজার ২৮৫টি পশু বিক্রি হয়েছে,
যার বাজারমূল্য ১ হাজার ৭৪
কোটি ৩৫ লাখ ৮৫
হাজার ৯৪৮ টাকা।
পরের
স্থানে রয়েছে ঢাকা বিভাগ। এ
বিভাগে এখন পর্যন্ত ৪৬
হাজার ২১৯টি পশু বিক্রি হয়েছে
৪৩৬ কোটি ৩৮ লাখ
৮৫ হাজার ৯৪৮ টাকায়।
প্রাণিসম্পদ
অধিদফতরের সম্প্রসারণ শাখার পরিচালক ডা. দেবাশীষ দাস বলেন,
প্রতিদিনই অনলাইনে পশু বিক্রির পরিমাণ
বাড়ছে। অনলাইন বাজার মূলত খামারি ও
ক্রেতাদের মধ্যে একটা মেলবন্ধন তৈরিতে
অন্যতম ভূমিকা রাখছে। কোনো খামারি চাইলে
স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পশু
অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। এ
ছাড়া খামারিদের যেকোনো তথ্য প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা
সরবরাহ করছেন।
প্রাণিসম্পদ
অধিদফতরের খামার শাখা সূত্র জানায়,
সারা দেশে চলতি বছর
কোরবানিযোগ্য এক কোটি ১৯
লাখ ১৬ হাজার ৭৬৫টি
পশু প্রস্তুত রয়েছে। গত বছর প্রস্তুত
ছিল ১ কোটি ১৮
লাখ ৯৭ হাজার ৫০০টি
পশু। আর কোরবানি উপলক্ষে
জবাই করা পশুর সংখ্যা
ছিল ৯৪ লাখ ৫০
হাজার ২৬৩টি। অবশ্য তার আগের বছরে
এক কোটি চার থেকে পাঁচ
হাজার পশু জবাই হয়েছিল।
মামুন/নির্জন