• ঢাকা বুধবার
    ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

অদৃশ্য সিন্ডিকেটের জালে বন্দি আকাশপথের টিকিট বাণিজ্য

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২৪, ১০:৫৫ এএম

অদৃশ্য সিন্ডিকেটের জালে বন্দি আকাশপথের টিকিট বাণিজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অদৃশ্য সিন্ডিকেট থেকে মুক্ত হচ্ছে না আকাশ পথের টিকিট বাণিজ্য। বিদেশগামী ফ্লাইটের টিকিট প্রতি দাম বেড়েছে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।

যাত্রীরা বলছেন, দেশের বাইরে কমে টিকেট মিললেও দেশে তা অধরা। এজেন্সিগুলোর অভিযোগ, গ্রুপ টিকিট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্যে ব্যবসা করতে পারছেন না তারা।

অভিযোগ রয়েছে, একটি চক্রের কারণেই দেশ থেকে টিকিট কাটতে হয় প্রায় দ্বিগুণ দামে। যাত্রীরা জানান, বিদেশ থেকে যেই টিকিট কাটতে খরচ হয় ৪০ হাজার, সেটিই বাংলাদেশে থেকে কাটতে খরচ হয় ৬০ হাজার টাকার বেশি। এতে বাড়ছে যাত্রী ভোগান্তি।

এজেন্সি সংশ্লিষ্টদের মত, চলতি মৌসুমে ভোগান্তি চরমে ওমরাহ টিকিট নিয়ে। এয়ারলাইনসগুলোর সহায়তায় গ্রুপ টিকিট বুকিংয়ের কালোবাজারিতে বিনিয়োগ করে রাঘব-বোয়ালরা। এতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সৌদি আরবসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট অনেক দেশে যেতে প্রতি টিকিটে বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। 

ট্যুর হাব ট্রাভেলসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুলতান আহমেদ বলেন, নভেম্বরের শুরু থেকে ডিসেম্বর মাসের টিকিটের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। প্রতি টিকিটের যার পরিমাণ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। 

তবে বরাবরের মতোই ভ্রমণ মৌসুমে অতিরিক্ত যাত্রীর চাহিদার দোহাই দিচ্ছে এয়ারলাইন্সগুলো। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ভ্রমণ মৌসুম হওয়ায় নিয়মিত যাত্রীদের সঙ্গে যাচ্ছেন অনেক মানুষই। এতে চাপ বাড়ছে। চাহিদা সাপেক্ষে বাড়ছে দাম। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পণ্য বাজারের মতোই এ খাতের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে সরকারকেই।

সাপ্লাই চেইন বিশেষজ্ঞ মুজিবুল হক বলেন, এ খাতে কারা সিন্ডিকেট করছে সেটি সরকারকেই খুঁজে বার করতে হবে। সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে বিমান মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম গঠন করা যেতে পারে। অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় এনে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। 

বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ৫২টি রুটে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করে ৩৫টি এয়ারলাইন্স। বছরে প্রায় ৮৫-৯০ লাখ দেশি-বিদেশি যাত্রী বহন করে এসব সংস্থা।

আর্কাইভ