প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২৪, ১১:০৮ এএম
পুরোদমে উঠতে শুরু করেছে দেশীয় ও ভারতীয় নতুন আলু। তবুও কমছে না দাম; বাজার এখনও চড়া।
সরবরাহসংকটের অজুহাত দিয়ে অস্থির হয়ে উঠছে আলুবাজার। কেরানীগঞ্জের আগানগর ও জিনজিরা এবং রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে আরও ৫ টাকা বেড়ে গেছে পণ্যটির দাম।
বর্তমানে প্রতি কেজি পুরনো আলু বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায়। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এটির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ৩.৪৫ শতাংশ, গত মাসের তুলনায় ৩৪.৭৮ শতাংশ এবং গত বছরের তুলনায় ৭৮.১৬ শতাংশ বেশি।
এছাড়া, ভারতীয় ও দেশি নতুন আলু কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। ক্রেতারা বলছেন, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে একসময় আলুই ছিল গরিবের ভরসার জায়গা। তবে সিন্ডিকেট করে আবারও আলুর বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। তবে সরকার নজরদারি বাড়ালে এর দাম কমতে পারে।
সাব্বির আহমেদ নামে এক ক্রেতা বলেন, আলুর বাজার লাগাম ছাড়িয়েছে গত বছরই। চলতি বছরের মাঝামাঝিতে দাম কিছুটা কম থাকলেও বর্তমানে ফের বাড়তে শুরু করেছে। কমছে না নতুন আলুর দামও।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে পুরনো আলুর সংকট চলছে। এতে নতুন-পুরনো কোনো আলুরই দাম কমছে না। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি আলু বিক্রেতা রুবেল জানান, পাইকারিতে প্রতি পাল্লা পুরনো আলু বিক্রি (৫ কেজি) হচ্ছে ৩৫০-৩৬০ টাকায়। এতে প্রতি কেজির দাম পড়ছে ৭০-৭২ টাকা। মূলত সরবরাহসংকটের কারণেই দাম বাড়তি।
আর আড়তদারদের দাবি, বাজারে আলুর সংকট চলছে। কোল্ড স্টোরেজগুলো থেকে পর্যাপ্ত আলু পাওয়া যাচ্ছে না। এতে দাম বাড়ছে। তবে ভারত থেকে আলু আমদানি চলমান থাকায় দাম নতুন আলুর দাম কমছে। ভোক্তা অধিকার কোল্ড স্টোরেজগুলোতে অভিযান চালালে দাম আরও কমতো।